গোবিন্দ রায়: আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও একবালপুরে ভাঙা হয়নি বেআইনি নির্মাণ। কলকাতা পুরসভার ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘‘বার বার নির্দেশ সত্ত্বেও বেআইনি বাড়ি ভাঙতে ব্যর্থ পুরসভা। যেখানে রাতারাতি বাড়ি তৈরি হয়ে যায়। আর ভাঙতে বছর ঘুরে যায়!’’
একবালপুরের ডেন্ট মিশন রোডে একটি ছতলা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে মাসকয়েক আগে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তা কার্যকর করা হয়নি। উপরন্তু বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আরও সময় চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাকিল আহমেদ সাগর নামে এক ব্যাক্তি। তার প্রেক্ষিতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। এক বছরের বেশি হয়ে গেলেও পুরসভা এখনও কোনও আদালতের নির্দেশ পালন করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
[আরও পড়ুন: সূত্র ব্লু টুথের ছেঁড়া তার, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে পুলিশের জালে ১]
পুরসভার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশমতো ভাঙার কাজ হচ্ছে। কিন্তু এই কাজ সম্পন্ন করতে সময় দিতে হবে।’’ কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, ‘‘ওই এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি যে সেখানে পুরসভা তাদের যন্ত্রপাতির ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছে না। গ্যাসকাটার, হাতুড়ি দিয়ে ৬ তলা বহুতল বাড়ি ভাঙতে হচ্ছে সেই জন্যই কাজ হচ্ছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।’’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘‘বাড়ি তৈরি রাতারাতি হয় আর ভাঙতে গেলে বছর ঘুরে যায় তা কাজ সম্পন্ন করা যায় না!’’ এদিন পুরসভার আইনজীবী আশ্বাস দিয়েছেন আগামী তিনমাসের মধ্যে এই বাড়ি ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। তারপর বিচারপতি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন কলকাতা।