সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দল প্রার্থীর নাম ঘোষণাও করেনি। কিন্তু দেওয়ালে অগ্নিমিত্রা পালের নাম লিখে প্রচারে নামল বিজেপির নিচুতলার ‘হতাশ’ কর্মীরা। পরে ‘ধমক’ খেয়ে নাম মুছলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বিজেপির উঁচু তলার নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তখনই নিচু তলার কর্মীরা প্রার্থীর নাম লিখেই শুরু করে দিল নির্বাচনী প্রচার। কোনও লোকসভা কেন্দ্রের নাম না লিখেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অগ্নিমিত্রা পালকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়ী করুন বলে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে দুর্গাপুরে বিজেপির প্রচার। দুর্গাপুরের এমএএমসির বি-ওয়ানের স্বপ্না মার্কেট এলাকায় এইভাবে দেওয়াল লিখে প্রচার শুরু করে দিলেন বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা। এই খবর কানে পৌঁছতেই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। নেতৃত্বের ‘ধমক’ খেয়ে দ্রুত দেওয়াল মুছে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হলেও এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের। ধমক খেয়ে অগ্নিমিত্রা পালের নামের উপর সাদা চুনের প্রলেপ দিয়ে ঢাকা দেওয়া হলেও বিজেপির প্রতীক দেওয়া বাকি লেখা রইল দেওয়াল জুড়ে। ভালো করে নজর করলেই অগ্নিমিত্রা পালের নামও বোঝা যাচ্ছে অস্পষ্টভাবে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক কাণ্ড ছত্তিশগড়ের শপিংমলে, বাবার কোল থেকে পড়ে মৃত্যু একরত্তির]
তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে আগেই। মাঠে নেমে জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। বিজেপিরও ১৯ কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতে তারাও নেমে পড়েছেন প্রচারে। তাতেই হতাশা বেড়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কিংবা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। সেই হতাশাতেই অগ্নিমিত্রা পালের নাম দেওয়ালে লিখেই প্রচারে নেমে পড়লেন তাঁরা। তবে জেলা নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়তেই ভুল নাম লিখতে নিষেধও করা হয়েছে নিচুতলার কর্মীদের।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। তাই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। দিল্লিতে গিয়েও রাজ্যের উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করতে পারছেন না প্রার্থীর নাম। ওদের নিচু তলার কর্মীরাও চূড়ান্ত হতাশায় ভুগছে। এটা তারই প্রমাণ।” যদিও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন,”এখনও ২৩টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম প্রকাশ হয়নি। তারই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো নামও ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই দেখেই ভুলবশত কারোর নাম লিখে ফেলেছিল দেওয়ালে কর্মীরা দেয়ালে। পরে ভুল বুঝতে পেরে মুছে তাঁরাই মুছে দিয়েছে ওই লেখা।”