সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি পতাকা হাতে নিয়ে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল খোদ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। চাপে পড়ে ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দিনকয়েক পরেই অভিযুক্ত পুলিশকে ক্লিনচিট দিল স্থানীয় পুলিশ। তাদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, হামলার সময়ে আইন মেনেই নিজের কর্তব্য পালন করেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক।
গত ৩ নভেম্বর টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় খলিস্তানিরা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে খলিস্তানি তাণ্ডবের সেই ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী জঙ্গিরা। রেহাই পায়নি মহিলা ও শিশুরাও। মারধর করা হয় তাদেরও। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। পুলিশের উপস্থিতিতেই মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চলে মন্দিরে।
ভাইরাল ভিডিওতে আরও দেখা যায়, খলিস্তানিদের হলুদ পতাকা হাতে নিয়ে হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিক হরিন্দর সোহি। তার পরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে জাস্টিন ট্রুডোর প্রশাসন। চাপের মুখে পড়ে ঘটনার দুদিন পরে সাসপেন্ড করা হয় হরিন্দরকে। কানাডা পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, "মন্দিরের বাইরে হিংসার যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে। এই ফুটেজে এক পুলিশ আধিকারিককে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে শামিল হতে দেখা গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই আধিকারিককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।"
কিন্তু তদন্তের মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই 'নির্দোষ' হিসাবে ঘোষণা করা হল হরিন্দরকে। কানাডার পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ঘটনার দিন আইনিভাবেই নিজের কাজ করছিলেন ওই আধিকারিক। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভিডিওতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ওই সময়ে আসলে এক বিক্ষোভকারীর হাত থেকে অস্ত্র নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ওই বিক্ষোভকারী কিছুতেই অস্ত্র ফেলতে রাজি হননি, উলটে পুলিশকে আক্রমণ করতে আসেন।" এই দাবির পক্ষে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে কানাডার পুলিশ। তবে বিতর্কিত পুলিশ আধিকারিক ক্লিনচিট পাওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠছে ট্রুডোর খলিস্তানপ্রীতি নিয়ে।