সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই নতুন ফ্রন্ট খুললেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্য ও জ্বালানিকে হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে মস্কো বলে তাঁর অভিযোগ।
বুধবার ইউক্রেন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পুতিন প্রশাসনকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “ইউইক্রেন যুদ্ধে খাদ্য ও জ্বালানিকে হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে মস্কো। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখে পড়ছে। তবে খাদ্যসংকটের মুখে যারা পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কানাডা। ইউক্রেনের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। ইউক্রেনের লড়াই আমাদের লড়াই। রাষ্ট্রসংঘের বিধি মেনেই ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে হবে। ভেটো ক্ষমতার অপব্যবহার করছে রাশিয়া।”
[আরও পড়ুন: হানাদারদের সামনে ‘অসহায়’ রাষ্ট্রসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদে আক্ষেপ জেলেনস্কির]
উল্লেখ্য, খলিস্তানি নেতা খুনে ভারতের সঙ্গে কার্যত ঠান্ডা লড়াই চলছে কানাডার। সমস্ত কূটনৈতিক সৌজন্য জলাঞ্জলি দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, স্রেফ ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন ট্রুডো। কানাডার শিখ ভোটারদের মন পেতে দুই দেশের সম্পর্ক বিষিয়ে তুলছেন তিনি। ট্রুডোর সরকার সংখ্যালঘু। শিখ রাজনৈতিক দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মদতে সরকার বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি। আর দলটির প্রধান তথা এমপি জগমিৎ সিং খলিস্তানিদের মৌন সমর্থক বলে পরিচিত।
এদিকে, ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়া ও কানাডার সম্পর্কে ফাটল চওড়া হচ্ছে। সে বছরই ক্রাইমিয়া দখল করে রুশ ফৌজ। আর তা নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছিল ওটয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রুডো। একাধিক রুশ আধিকারিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওটয়া। সম্প্রতি হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কানাডার প্রায় ৬০ শতাংশ নাগরিকই রাশিয়ার এই আগ্রাসনের বিপক্ষে। তাই ট্রুডোর রুশ বিরোধিতাও অনেকটাই জনতার আবেগের কথা মাথায় রেখে। সবমিলিয়ে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক উচ্চাশাই কানাডার বিদেশনীতির অভিমূখ স্থির করছে।