সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যম, জনমানস, এমনকী সমস্ত সমীক্ষাতেই বিজেপিকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছিল। অন্তত সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছিল, হরিয়ানায় কংগ্রেস ফিরছে। অথচ, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বলছে উলটো কথা। হরিয়ানায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। তাও পুরোপুরি একার দমে। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা এবং ভোটের হার দুই-ই বেড়েছে বটে, তবে সেটা বিজেপির তুলনায় অনেকটাই কম। হরিয়ানার মাটিতে এই হার যেন মানতে পারছে না হাত শিবির। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, জাঠভূমে ভোটে কারচুপি হয়েছে। কংগ্রেসের নিশ্চিত জয়, সিস্টেমকে ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানায় যতগুলি সংস্থা ভোট পরবর্তী সমীক্ষা করেছিল, সবাই একযোগে জানিয়ে দেয়, এবার সেরাজ্যে ১০ বছরের বিজেপি শাসনের অবসান হবে। এবং কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখল করবে। এমনকী মঙ্গলবার ভোটগণনা যখন শুরু হল, তখনও তরতর করে এগোচ্ছিল হাত শিবির। একটা সময় মনে হচ্ছিল, হাত শিবির রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। কিন্তু ভোটগণনা শুরুর পর ঘণ্টা দুয়েক কাটতেই ছবিটা পুরোপুরি বদলে গেল। কংগ্রেসের জায়গায় লিড পাওয়া শুরু করল বিজেপি। শেষ ফলাফল বলছে, হরিয়ানায় ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। কংগ্রেস অনেক পিছিয়ে। বিজেপি যেখানে ৪৮টি আসন পাচ্ছে। সেখানে কংগ্রেসের দখলে ৩৭ আসন।
কিন্তু হরিয়ানার জনতার এই রায় মানতে নারাজ কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, এই ফলাফল সেরাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। গণনা যখন প্রায় শেষ তখন কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জয়রাম রমেশ বললেন, "হরিয়ানার এই ফলাফল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এবং অবিশ্বাস্য। এটা বাস্তব পরিস্থিতির বিপরীতে যাচ্ছে। এটা হরিয়ানার মানুষের মতামতের বিপক্ষে যাচ্ছে। হরিয়ানার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে মত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। এই পরিস্থিতিতে এই ফলাফল মেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।"
জয়রাম রমেশ বলছেন, "বিকাল থেকে আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। আমরা অন্তত ৩টি জেলা থেকে গুরুতর অভিযোগ পাচ্ছি। ওই তিন জেলায় ভোট গণনার প্রক্রিয়া এবং ইভিএম নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আরও এই ধরনের অভিযোগ আসছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই সিস্টেমকে ব্যবহার করে আমাদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হল।"