shono
Advertisement

স্বেচ্ছায় সহবাস করে ধর্ষণের মামলা করা যায় না, যৌন নির্যাতন মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

দীর্ঘদিনের প্রেমিকের বিরুদ্ধে মহিলার আনা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
Posted: 10:06 AM Aug 19, 2022Updated: 10:06 AM Aug 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। স্বেচ্ছায় যৌনতা। তারপর সম্পর্ক ভেঙে গেলেই ধর্ষণের মামলা। এমনটা করা যায় না। এক যৌন নির্যাতন মামলায় সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের সাফ বক্তব্য,”কোনও মহিলা কারও সঙ্গে স্বেচ্ছায় সহবাস (Consensual Relationship) করার পর সম্পর্ক ভেঙে গেলেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনতে পারেন না।”

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছে একটি যৌন নির্যাতনের মামলায়। মূল মামলাটি করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন প্রাক্তন প্রেমিক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের সঙ্গে ২০০৪ সালে প্রথম সাক্ষাৎ হয় মহিলার। কিছুদিন বাদেই তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু সেই সম্পর্কে থাকাকালীনই ২০১৪ সালে অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করে নেন মহিলা। যদিও বিয়ের পরও নিজের প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেননি তিনি। বস্তুত, মহিলা বিয়ের পরও আগের প্রেমিকের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যান।

[আরও পড়ুন: ‘মেয়েরা যেভাবে প্রেমিক বদলায়…’, নীতীশ কুমারকে নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে বিতর্ক]

যদিও এভাবে বেশিদিন চলেনি। ২০১৭ সালে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় মহিলার। তিনি ফিরে আসেন প্রেমিকের কাছে। কিন্তু এবার তাঁর প্রেমিক আগের প্রতারণার ‘বদলা’ নিতে নিজে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে নেন। তাতেই রেগে গিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ওই মহিলা। তারপর থেকেই হাই কোর্টে মামলাটি চলছিল। হাই কোর্টে এই ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেওয়ার আরজি জানান মহিলার প্রেমিক। কিন্তু হাই কোর্ট তাঁর আরজি খারিজ করে দেয়। এবার তিনি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের।

[আরও পড়ুন: ‘বিলকিস বানোর ধর্ষকরা ব্রাহ্মণ, সুসংস্কারী’, গোধরার বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]

শীর্ষ আদালত মহিলার প্রেমিকের আরজি মঞ্জুর করে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং এ বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়,”এক্ষেত্রে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্পর্কে ছিল। দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিক্ষিত। এর মধ্যে আবার মহিলা বিয়েও করেন আবার ডিভোর্সও নেন। অভিযোগকারীই বলছেন, তাঁদের প্রেম বিয়ের আগে, পরে এবং বিচ্ছেদের পরেও চলেছে।” আদালত জানায় এক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement