সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিয়া-অনন্যা বনাম শেখর-শুভজিৎ। এই দুই যুগলকে নিয়ে এখনও আলোচনায় সরগরম অনেকে। বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বালির দুই গৃহবধূর সংসার ত্যাগ নিয়ে আইনি মামলা চলছে। তাতে নতুন নতুন মোড় খুলে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে (Howrah Court) শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন শেখর ও শুভজিৎ। আদালতে দাঁড়িয়েই নিজেদের সম্পর্ককে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তাঁরা। বললেন, রিয়া-অনন্যাকে বিয়ে করে সংসার করতে চান। এই প্রশ্নও তুললেন, রাজমিস্ত্রি বলে কি তাঁদের মনে প্রেমের গভীরতা নেই? কাউকে ভালবেসে কাছে পাওয়ার অধিকার নেই? এই মামলায় আইন কী রায় দেবে, তা তো সময়ই বলবে। কিন্তু আজ দুই অভিযুক্তের মরমী প্রশ্ন কিন্তু ভাবনার অনেক অন্ধকার দিক খুলে দিয়ে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। হাওড়ার বালি (Bally) এলাকার নিশ্চিন্দার বাসিন্দা রিয়া কর্মকার এবং তাঁর জা অনন্যা নিখোঁজ হয়ে যান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছেন তাঁরা। প্রেমিকদের হাত ধরে পাড়ি দিয়েছেন মুম্বইয়ে। পরে ফেরার পথে রিয়া-অনন্যা এবং দুই রাজমিস্ত্রি – শেখর রায় ও শুভজিৎ দাসকে আটক করে পুলিশ। পরে দুই রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু হয় আইনি মামলা। রিয়া এবং অনন্যা পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও শ্বশুরবাড়ি তাঁদের আর ফিরিয়ে নেয়নি। দু’জনই আপাতত নিজেদের বাপের বাড়িতে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ডাকলেও বৈঠকে যোগ দেন না’, এবার হিরণের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দিলীপ ঘোষের]
বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে মামলাটি উঠলে শেখর-শুভজিৎ জেলবন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আর গরাদের বাইরে বেরিয়েই নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা খুলে বললেন তাঁরা। দু’জনেরই বক্তব্য, রিয়া-অনন্যাকে তাঁরা ভালবাসেন। বিয়ে (Marry) করে সংসার করতে চান। যদি গৃহবধূরা রাজি থাকেন, তাহলে তাঁরা রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করতে রাজি। এই প্রেমকাহিনির অসম্পূর্ণতা আপাতত এখানেই। কারণ, রিয়া-অনন্য়ারা শেখর-শুভজিৎদের প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেননি। নিজেদের মতামতও জানাননি। শেখর-শুভজিৎদের সংসার বাঁধার স্বপ্ন পূরণ তাঁদেরই একটা ‘হ্যাঁ’-এর উপর নির্ভর করছে।