শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবনগরে। তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের ভাইপো তথা জেলা পরিষদের সদস্য আনারুল হক বিপ্লবের গাড়ি আটকে ভাঙচুড়ের অভিযোগ উঠল বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বিপ্লবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জঙ্গিপুরের সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ জয়নাল আবেদীনের ছেলেকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদানের টোপ দিয়েছিলেন। এর পরই গ্রামবাসীদের রোষানলে পড়েন তিনি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, খলিলুর রহমানের ভাইপো তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য আনারুল হক বিপ্লব শনিবার রাতে ধুলিয়ান থেকে সাগরদিঘির কাবিলপুর যান। উদ্দেশ্য ছিল, কয়েকজন ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া। গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাবিলপুরের সাহেবনগরে বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা বিপ্লবের গাড়ি ঘিরে ধরেন। এর পর ভাঙচুর চালানো হয় গাড়ি বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বিপ্লব-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
[আরও পড়ুন: আচমকা ‘বেঁচে’ উঠল মৃত কিশোর! কাটোয়া হাসপাতালে ধুন্ধুমার]
টাকা বিলির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন আনারুল হক বিপ্লব। তিনি বলেন, "শনিবার রাতে কাবিলপুরে আমাদের দলের একটি 'ইনডোর' বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক করে আমি যখন গাড়ি করে ফিরছিলাম সেই সময় কিছু যুবক আমার গাড়িতে হামলা চালায়। গোটা ঘটনার ভিডিও করতে থাকে।"এ প্রসঙ্গে সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম বলেন,"প্রাক্তন সিপিএমের সাংসদ জয়নাল আবেদীনের এক ছেলে আমাদের দলের নেতাকে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার নাম করে গ্রামে ডেকেছিল। এর পর পরিকল্পনামাফিক বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসন। ভাঙচুর হাওয়া গাড়ি পরীক্ষা করে তার ভিতর থেকে দলীয় কিছু পতাকা, পোস্টার, ব্যানার ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায়নি।"
যদিও সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য ইসমাইল শেখ জানান,"গত ৩-৪ দিন ধরেই তৃণমূল নেতারা কাবিলপুরে এসে টাকা বিলি করছে। শনিবার রাতেও তৃণমূলের কিছু নেতা দুটো গাড়ি নিয়ে গ্রামে এসে বাম কংগ্রেস সমর্থকদের টাকা নিয়ে খলিলুর রহমানকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এই ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরাজয়ের আশঙ্কায় টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল ও ভোট কেনার চেষ্টায় নেমেছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।"