সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বহু স্কুলে শুরু হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। তাই উৎসবের আনন্দের রেশ কাটিয়ে এখনই পড়াশোনায় ফিরতে হবে নতুন উদ্যমে। উৎসব শেষে অনেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ হারায়—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কীভাবে শুরু করে ছেলেমেয়েরা আবার পুরো উদ্যমে ফিরতে পারবে লেখাপড়ায়? উপায় বাতলাচ্ছেন ফুলবাড়ি শীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষক ভোলানাথ দাস।
প্রথম ক’দিন হালকা ভাবে পুরনো পড়াগুলো ঝালিয়ে নেওয়া দরকার। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ ফিরে আসবে শীঘ্রই। ধীরে ধীরে তৈরি হবে আত্মবিশ্বাস। গড়ে উঠবে নতুন রুটিন। ছাত্রছাত্রীদের মনে রাখতে হবে—পড়াশোনা মানে কেবল মুখস্থ নয়, বোঝার আনন্দ। তাই মুখস্থের বদলে বুঝে পড়া অভ্যাস করা দরকার। অভ্যাসই একমাত্র মন্ত্র—যা ধীরে ধীরে অজানাকে সহজ করে তোলে।
ফুলবাড়ি শীতলা হাই স্কুল (এইচএস)[/caption]
পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীর ও মনের যত্ন নেওয়াও সমান প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। সকালে ২০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম মনোযোগ বাড়ায়। খাবারে তেল-ঝাল ও জাঙ্ক ফুড কমিয়ে ফল, দুধ ও সবজি বাড়াতে হবে। মোবাইলের ব্যবহার ও স্ক্রিন টাইমের সময় কমিয়ে আনতে হবে।
ভোলানাথবাবুর মতে, ছাত্রছাত্রীদের আবার পড়ার ছন্দে ফেরাতে শিক্ষক ও স্কুলের পরিবেশ বড় ভূমিকা নেয়। ছুটি শেষে প্রথম কয়েক দিন শিক্ষকরা যদি একটু গল্প, আলোচনা, হালকা ক্লাস কার্যক্রম চালান, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই পড়াশোনার পরিবেশে ফিরতে পারে।
যে ছাত্র সময়কে সম্মান দেয়, নিয়মিত পরিশ্রম করে এবং নিজের সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়—তার ভবিষ্যৎ একদিন নিজেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কারণ সফলতার উৎস কখনও ভাগ্যে নয়, বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট সৎ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। তাই, পুজোর ছুটি কাটিয়ে পড়াশোনায় ফিরতে এখনই সচেষ্ট হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।
