সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান (Chandrayaan 3)। গোটা দেশ জুড়ে কার্যতই উৎসবের আমেজ। জয়জয়কার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই সম্ভব হয়েছে ইতিহাস রচনা। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর অনেক তরুণ-তরুণীই মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন। জেনে নিন সেই স্বপ্নপূরণের হদিশ।
মহাকাশবিজ্ঞানী হওয়ার পথে প্রথম ধাপই হল মাধ্যমিক অর্থাৎ দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এন্ট্রান্স ক্লিয়ার করার পথে দারুণ সাহায্য করবে।
এরপর জেইই মেইন অথবা জেইই অ্যাডভান্সডে বসতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রথম পরীক্ষায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ টেকনোলজি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি বা অন্যান্য কলেজে প্রবেশের সুযোগ মিলবে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় দেশের আইআইটিগুলিতে পড়ার সুযোগ। কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিক্যাল, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্সের মতো বিষয় নিয়ে পড়তে হবে।
[আরও পড়ুন: হাতে চাঁদ পেল ভারত, ১৪০ কোটির স্বপ্ন নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে ইসরোর ‘বিক্রম’]
আর যাঁরা বিএসসি পড়বেন তাঁরা কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট তথা CUET-এ বসতে পারেন। এছাড়াও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতেও ভরতি হয়ে বিটেক পড়া যায় সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে।
এরপর ইসরোর লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ে পাশ করলেই মিলবে চাকরি। বিভিন্ন পদেই লোক নেওয়া হয়। ইচ্ছুক পড়ুয়ারা স্পেস সায়েন্টিস্ট পদের জন্য পরীক্ষা দিতে পারেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসগুলি থেকেও অনেক সময় সরাসরি নিয়োগ হয়। সেভাবেও আপনার জন্য খুলে যেতে পারে ইসরোর (ISRO) দরজা। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় স্বপ্নের এই চাকরির জন্য ইচ্ছুকদের নিয়মিত ইসরোর ওয়েবসাইটে চাকরির বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত আপডেটগুলির দিকে লক্ষ রাখতে হবে।