স্টাফ রিপোর্টার: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বা ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ না শিখলে আগামী দিনে কম্পিউটার শিল্প এবং প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররাও চাকরি হারাতে পারেন। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি শিল্পের অন্যতম প্রবক্তা বিশ্বখ্যাত আইবিএম-এর ভারতীয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞ রবীন ত্যাগী।
তাঁর কথায়, "আগামী তিন বছরে শুধুমাত্র ভারতেই আইবিএম-এর প্রয়োজন হবে দশ লাখ ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বিশেষজ্ঞ। কারণ, চলতি কম্পিউটারের অধিকাংশ প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার শীঘ্রই চলে যাবে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র অধীনে। স্বভাবতই নতুন করে যাঁরা কম্পিউটারে স্নাতক হবেন তাঁরা যেমন এই নয়া প্রযুক্তি শিখতে বাধ্য হবেন, আর যাঁরা এখন কাজ করছেন তাঁদেরও এই প্রযুক্তি শিখে নিতে হবে।" নয়া প্রযুক্তি যাঁরা শিখতে পারবেন না তাঁদের চাকরি হারাতে হতে পারে বলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নিট বিতর্কের মাঝেই এবার UPPSC! প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে যোগীরাজ্যে গ্রেপ্তার ৬]
দলীয় নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে ছাত্রদের পড়াশোনা, ক্রীড়া, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক পরিকল্পনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বা ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’-এর দ্রুত ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক দল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বস্তুত সেই কারণে খড়গপুর আইআইটি ও বারাকপুরের স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্বভারতে এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আইবিএম যৌথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করছে। আর সেই স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএম-এর নয়া প্রযুক্তি ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ গবেষণাগারের উদ্বোধন করে রবীন ত্যাগী বলেন, "যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের চাহিদানির্ভর সফটওয়্যার ‘আপডেট’ না করলে কী পরিস্থিতি হয় তার উদাহরণ নোকিয়া। বাজারে প্রথম মোবাইল ফোন ওই সংস্থার, কিন্তু অ্যানড্রয়েড ফোন হলেও ওই কোম্পানি প্রযুক্তির পরিবর্তন না করায় ব্যবসা হারিয়ে সংস্থা কার্যত বন্ধ করে দিতে হয়েছে।" ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুব্রতকুমার দে।
[আরও পড়ুন: ফাইলের বোঝা অতীত! ফোনেই থাকবে কেস ডায়েরি, নয়া অ্যাপ আনছে কলকাতা পুলিশ]
নয়া গবেষণাগারের সুবিধা জানিয়ে এদিন ত্যাগী জানান, "যাঁরাই কম্পিউটার স্নাতক হবেন তাঁদেরই একবছরের জন্য এই প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। তিনবছরে আরও ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ কোর্সের প্রশিক্ষক তৈরি করবে আইবিএম।" উল্লেখ, আইবিএম ছাড়াও বিশ্বে মাইক্রোসফট ও ডেলওয়েট কম্পিউটার নির্মাণ সংস্থা এই ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করছে। তবে আইবিএম-ই ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ সফটওয়ার নিয়ে প্রথম পা রাখল পশ্চিমবঙ্গে।