shono
Advertisement

ইন্টারভিউ তালিকায় অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ, ফের মামলার জটে শিক্ষক নিয়োগ

ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে।
Posted: 08:45 PM Jun 24, 2021Updated: 08:45 PM Jun 24, 2021

শুভঙ্কর বসু: সবে উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কথা ঘোষণা করেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, পুজোর মধ্যেই প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধাই শেষ কথা বলবে। কিন্তু তারপরও উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউ তালিকায় অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court)।

Advertisement

মামলাকারীদের দাবি, নতুন করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ ও মুর্শিদাবাদের মহম্মদ সারিকুল ইসলাম-সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন হাই কোর্টে। মামলাকারীদের মূল অভিযোগ, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। তার ফলে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীর নামই তালিকায় নেই। অন্যদিকে কম নম্বর পাওয়া অনেকের নামই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই SSC সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এসএসসির তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবিলম্বে প্রকাশিত তালিকা বাতিল করে মোট নম্বর উল্লেখ করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করার আবেদন করেছেন তাঁরা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম ও গোপা বিশ্বাস জানান, ওবিসি বি ক্যাটাগরিতে অভিজিৎ ঘোষ ৭৭.৮৮ পেয়েছেন। কিন্তু ইন্টারভিউ লিস্টে তিনি স্থান পাননি। অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউ লিস্টে স্থান পেয়েছেন বেশকিছু প্রার্থী। ওবিসি এ ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ সারিকুল ইসলাম ৭৩.৪৮ পেয়েছে । শাহিকুল আলম নামে অন্য এক প্রার্থী ৭০.১২ পেয়ে ইন্টারভিউ লিস্টে স্থান পেয়েছেন। অথচ সারিকুল ইসলাম তার চেয়ে বেশি নাম্বার পাওয়ার পরেও ইন্টারভিউ লিস্টে স্থান পাননি। এছাড়াও একাধিক ভুলভ্রান্তি রয়েছে ইন্টারভিউ লিস্টে।

[আরও পড়ুন: ‘মুকুল রায় তো BJP সদস্য’, PAC চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে মন্তব্য মমতার]

হাজারো মামলা-মোকদ্দমার বাধা পেরিয়ে গত সোমবার উচ্চপ্রাথমিকে ১৪,৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়। ‘টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট’ বা TET-এর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে যেমন ২০১২ সালের পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন, তেমনি কেউ ২০১৪ সালে টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ২০২০ সালে প্রথম মেধা-তালিকা প্রকাশের পর মামলার জালে জড়িয়ে যায় গোটা প্রক্রিয়া। সেই প্যানেল বাতিল করে পুনরায় ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন ভাবে প্যানেল তৈরি করতে বলে কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার নতুন তালিকা নিয়েও মামলা দায়ের হল হাই কোর্টে। এছাড়াও প্রশিক্ষণহীনদেরও ইন্টারভিউ তালিকায় জায়গা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেছেন গার্গী মুদি নামে আরেক প্রার্থী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement