সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনের দুনিয়ায় একচ্ছত্র রাজত্ব গুগলের (Google)। অনলাইন বিজ্ঞাপন ও সার্চের ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা করছে দুনিয়ার অন্যতম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাটি। তবে প্রতিযোগীদের সরিয়ে দিতে ‘কারচুপির’ আশ্রয় নিয়েছে সংস্থাটি। এই অভিযোগেই গুগলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের মামলা দায়ের করল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিলে মৃত অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের স্বেচ্ছাসেবক, উঠছে প্রশ্ন]
বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একচেটিয়া ব্যবসা করতে গ্রাহকদের নিজেদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে বাধ্য করছে তারা। নিজেদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে গুগল। শুধু তাই নয়, নেটদুনিয়ায় আধিপত্য বজায় রাখতে প্রতিযোগিতার বাজার নষ্ট করে দিয়েছে সংস্থাটি। অনলাইন বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতেও অত্যন্ত কৌশলে সাম্রাজ্য কায়েম করেছে গুগল। প্রথমে বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিচ্ছে সংস্থাটি। তারপর সেটা একাধিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে গুগল। বিনিময়ে ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে নিজেদের অধিকার সাব্যস্ত করে ফেলছে। গোটা বিষয়টি অনৈতিক। এর ফলে সামগ্রিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প সরকারের। ফলস্বরূপ, সংস্থাটির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইন্ডিয়ানা, জর্জিয়া, ফ্লোরিড়া, কেন্টাকি, লুইসিয়ানা-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১১টি রাজ্য।
উল্লেখ্য, গুগলের বিরুদ্ধে এহেন পদক্ষেপ মার্কিন ইতিহাসে বেনজির নয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল মাইক্রোসফ্টের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। তার কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনলাইনে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলছিলেন। ফলে নির্বাচনী আবহে গুগলের বিরুদ্ধে খোদ সরকারের খড়্গহস্ত হয়ে ওঠাকে ভোটযুদ্ধের রণকৌশল হিসেবে দেখতে চাইছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের মত, ভারচুয়াল দুনিয়ায় গুগলের মতো সংস্থাগুলি যে হারে একাধিপত্য শুরু করেছে তাতে ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতার কোনও জায়গা থাকবে না। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গ্রাহকরা। তাই মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য।