সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ দীর্ঘায়ু পেতে জীবন থেকে চিনি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। একদিকে অত্যধিক স্থূলতা। অন্যদিকে ডায়াবেটিসের বাড়াবাড়ি। এসব কমাতে চিনি ছাড়তেই হবে। কিন্তু চিনির বিকল্প হিসেবে কী খাবেন? পুষ্টিবিদদের মতে, এই শীতের মরশুমে চিনির সেরা বিকল্প গুড়। এটি শরীরের জন্য বহুলাংশে উপকারী।
কেন গুড় চিনির চেয়ে ভালো?
সাদা চিনি তৈরি হয় অনেকগুলো রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যেখানে এর সমস্ত পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, গুড় অনেক কম প্রক্রিয়াজাত এবং এতে আখের প্রাকৃতিক গুণাগুণ বজায় থাকে। গুড়ে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৬ এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজে সমৃদ্ধ। চিকিৎসকদের মতে, গুড় রক্তে শর্করার মাত্রা চিনির মতো অত দ্রুত বাড়ায় না।
শীতে গুড়ের বিশেষ উপকারিতা
১) গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শীতকালীন সাধারণ সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ কমাতে এটি অব্যর্থ।
২) খাওয়ার পর সামান্য গুড় খেলে পাচক এনজাইমগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি বদহজম ও পেটফাঁপা দূর করতে সাহায্য করে।
৩) ভারতের চিরাচরিত বিশ্বাস মতে, গুড়ের বিশেষ উষ্ণ গুণ রয়েছে যা শীতের দিনে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪) গুড় যকৃৎ বা লিভার থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে।
৫) গুড়ের গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের দাগছোপ দূর করে এবং প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়।
সতর্কতা ও বিশেষজ্ঞের মত
গুড় স্বাস্থ্যকর হলেও এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৩৮৩ ক্যালোরি থাকে। তাই মেদ বৃদ্ধি এড়াতে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। তবে, গুড় চিনির চেয়ে ভালো হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
পরামর্শ
বাজার থেকে কেনা কৃত্রিম রং মেশানো গুড় এড়িয়ে ভেষজ বা অর্গানিক গুড় বেছে নিন। চিনির বদলে রান্নায় বা চায়ে গুড় ব্যবহার করুন, তবে মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়।
