শুভঙ্কর বসু ও মনিরুল ইসলাম: ছাত্রনেতা আনিস খান (Anis Khan) হত্যাকাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টেও। রহস্যমৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে উচ্চ আদালত। জরুরি শুনানির আরজিও গৃহীত হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিকে, ঘটনার তদন্তে আমতায় ছাত্রনেতার বাড়িতে পৌঁছলেন ডিএসপি, ডিএনটি সুব্রত ভৌমিক। নিহতের বাবা সালাম খানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ওইদিনই গভীর রাতে হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনজন। একজনের পরনে ছিল খাঁকি উর্দি। ছাত্রনেতার পরিবারের দাবি, তাঁরা নিজেদের আমতা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। এদিকে পুলিশের তরফে রবিবার সকাল পর্যন্ত বারবার দাবি করা হয়েছে, পুলিশের কোনও দল শুক্রবার রাতে যায়নি আনিসের বাড়িতে। রবিবার ভাইরাল হয় একটি অডিও ক্লিপ। তাতে আমতা থানার পুলিশের সঙ্গে আনিসের বাবা সালাম খানের কথোপকথন শোনা যায়। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.in।
[আরও পড়ুন: দাদার নজর এড়িয়ে হবু বউদির সঙ্গে প্রেম ও সহবাস, বিয়ের পরই শ্রীঘরে ভাই]
পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে এসে ছেলেকে খুন করে আততায়ী, তার উপর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ, তাই পুলিশের উপর আস্থা রাখতে নারাজ আনিসের পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় তাঁরা। এদিকে, সোমবার সকালে আনিসের বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি ডিএনটি। সঙ্গে ছিলেন আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন নিহত ছাত্রনেতার বাবার সঙ্গে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের সঙ্গে ফরেনসিক বা অন্যান্য রিপোর্টের মিল পাওয়া না গেলেও প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে।
ছাত্রনেতার বাবার সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা।
এদিকে, সোমবার সকাল পর্যন্ত অধরা অভিযুক্ত। এই ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউই। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রনেতার? কে বা কারা খুন করল তাঁকে, সে জট কাটেনি।