গোবিন্দ রায়: বিচারককে হেনস্তার অভিযোগে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার মামলায় বসিরহাট আদালতের ৬ আইনজীবীর কাতর আর্জি ফেরাল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার অভিযুক্ত আইনজীবীদের আবেদন ছিল, “বারের ভোটে দাঁড়াতে চাই না, শুধু এবারের মতো মাফ করে দিন।” কিন্তু বসিরহাট আদালতের বারের সভাপতি, সচিব সহ ৬ আইনজীবীর সেই আর্জি ফিরিয়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল।

আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের মন্তব্য, “যারা ওই আন্দোলনে সামিল ছিলেন, এই লোকগুলোকে কোন আদালতে এমনকি বারে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়।” এঁদের জেলে পাঠাব বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি বসাক। বিচারপতির মতে, বসিরহাট ক্রিমিনাল বার এ্যাসোসিয়েশন এঁদের জন্য কি ইমেজ পেয়েছে। এঁদের দয়া দেখালে ভিক্টিমের পরিবারের কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, “আমরা পেনাল্টি চাইছি। কিন্তু হালকা পদক্ষেপ করে ছেড়ে দিন।”
অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, “তাঁরা ওই আদালতের বার অ্য়াসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, সেক্টেটারি পদে আছেন। পরবর্তীতে কোনও ভোটে, কোনও পদে ভোটে দাঁড়াবে না। এঁদের পরিবার আছে।” প্রেক্ষিতে বিচারপতি বসাক আরও বলেন, “এরা তো ৬ জন এই পেশায় কোহিনূর। বাকিদের পরিবার নেই !” আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হাই কোর্টে লিখিত দেওয়ার পরও পুনারাবৃত্তি হয়েছে। যাঁরা ১২ বছর ধরে বোঝেনি এবার তাঁরা বুঝে যাবেন।