সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: প্রচারে গিয়ে জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই বিপদ কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। উঠছে নিরাপত্তার প্রশ্নও। এই তরজার মধ্যে বিষয়টি গড়াল আইনের দরজায়। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। জনৈক সুরজিৎ সাহা নামে এক ব্যক্তি মামলাকারী। শুক্রবারই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, এমন অভিযোগ তুলে এদিনই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
[আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন,’ আহত মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় টুইট রাজ্যপালের]
বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশের পর বিকেলে বিরুলিয়ায় মন্দির দর্শনে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভিড়ের চাপে তাঁর বাঁ পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। ওইদিনই গ্রিন করিডর করে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভরতি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে নানা মহল থেকে নানা মত উঠে আসে। দলীয় নেতৃত্ব ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তোলে, বিরুলিয়াবাসী অবশ্য ‘দুর্ঘটনা’র তত্ত্বেই সহমত পোষণ করে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ‘হামলার চক্রান্ত’ হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। আর শুক্রবার সকালে তাঁরা সোজা চলে গেলেন দিল্লিতে, নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ৬ সাংসদ- ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, প্রতিমা মণ্ডল, শতাব্দী রায়, শান্তনু সেন।
কমিশন অফিস থেকে বেরিয়ে সৌগত রায় বলেন, ”বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে ইঙ্গিত ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলার মুখে পড়তে পারেন। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমরা সেসব জানিয়েছি কমিশনকে।” এ প্রসঙ্গে তিনি দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ’র নাম উল্লেখ করেন। কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দাবি, ”কমিশনও গোটা ঘটনার কথা শুনে উদ্বিগ্ন। আমরা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছি।”
[আরও পড়ুন: কমেছে ব্যথা, শারীরিক অবস্থার উন্নতি, কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন মুখ্যমন্ত্রী?]
অন্যদিকে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন সুরজিৎ সাহা নামে এক ব্যক্তি। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের বেঞ্চে মামলাটি দায়ের হয়েছে। আজই শুনানি হতে পারে।