শেখর চন্দ্র, আসানসোল: দুর্গাপুজো জেলেই কাটবে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। প্রভাবশালী তত্ত্বে ফের খারিজ জামিনের আরজি। আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তা খারিজ হয়। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আদালত থেকে বেরিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, পুজোর জন্য বন্ধ থাকবে সিবিআই আদালত। তারপর আদালতে শুনানি হবে। তবে এরমধ্যে চাইলে ৫ অক্টোবর এবং ১৯ অক্টোবর সিজেএম আদালত খোলা থাকবে। এই দু’ দিন তাঁকে আদালতে পেশ করা যেতে পারে। অন্যথায় ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে।
[আরও পড়ুন; মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিধানসভায় গরহাজির ২৭ TMC বিধায়ক, কড়া ব্যবস্থার পথে দল]
বুধবার গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। একঘণ্টা শুনানি চলে আদালতে। গত ৪২ দিন জেলে রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। এদিন অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতা, বয়সের যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি ছিল, “গরুপাচার মামলার মূল অভিযুক্ত সতীশ কুমার-সহ অনেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন বা গ্রেপ্তার হননি। সিবিআই তাদের জামিন নাকচের কোনও আবেদন করেনি। অথচ আমাদের মক্কেলের নাম চার্জশিটে নেই, তাও তাঁর জামিনের আরজি খারিজ করা হচ্ছে।” অনুব্রতর আইনজীবীদের আরও প্রশ্ন, “গরুপাচার মামলার টাকায় অনুব্রত বহু সম্পত্তি করেছে। এটা দাবি সিবিআইয়ের। প্রমাণ আছে? অনুব্রতর জেলে ৪২ দিন পার হয়ে গিয়েছে, তবু কেন তদন্ত এখনও শেষ হল না? রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে?”
সিবিআইয়ের আইনজীবীরা আদালতে পালটা জানান, “অনুব্রত মণ্ডলের বেনামে ১৫ থেকে ১৯টি নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। প্রচুর নগদ উদ্ধার হয়েছে। দু’টি এনজিওর খোঁজ মিলেছে। উনি প্রভাবশালী ব্যক্তি। জেলের বাইরে থাকলে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করতে পারেন। তদন্ত প্রভাবিত হবে।” অনুব্রতর আইনজীবীদের পালটা দাবি ছিল, “সিবিআই সব নথি পেশ করেছে। চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। তবু কী করে মক্কেল জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারবে? জামিন মঞ্জুর করুন।”
গ্রেপ্তারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে হয়। সেক্ষেত্রে ১১ অক্টোবরের মধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে হবে। সূত্রের খবর, ২৮ বা ২৯ অক্টোবর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করবে সিবিআই।