শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলায় তিনি জেলবন্দি হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও রাইস মিলে চুরি হচ্ছে, শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। এসব ঘটনার কথা জানিয়ে আসানসোলের (Asansol) সিবিআই আদালতের ভারচুয়াল শুনানিতে অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করার আবেদন জানালেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাতে বিচারক জানান, আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত আবেদন জানালে তিনি দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে তবেই এ বিষয়ে রায় দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার দিল্লির তিহাড় জেল থেকে আসানসোলের সিবিআই (CBI)আদালতে ভারচুয়াল শুনানিতে যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডল। বিচারক তাঁকে দেখে জানতে চান, ”আপনাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। অনুব্রতবাবু, কেমন আছেন?” তাতে তিনি জানান, শরীর একেবারে ভাল নেই, নানা অসুবিধা হচ্ছে। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে থাকা সত্ত্বেও নানারকম অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান অনুব্রত।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ভাইপোর বিয়ের আসরে নাচতে নাচতে মৃত্যু ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টের ম্যানেজারের]
এরপর সরাসরি মামলার বিষয়ে কথা বলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। বিচারককে তিনি বলেন, ”স্যর, রাইস মিলে চুরি হচ্ছে। অ্যাকাউন্টটা ডি-ফ্রিজ করে দিন। রাইস মিলের দুটি অ্যাকাউন্ট যেন খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকরা পেমেন্ট পাচ্ছে না। ২০০ লেবার আছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।” বিচারক জানান, ”আপনার মুখের কথায় আমি কোনও অ্যাকাউন্ট তো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার ও সিবিআই – দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান, সামনের সারিতে বসে ‘নিদ্রা’মগ্ন শুভেন্দু!]
অনুব্রতর আরজি শোনার পর বিচারক তাঁর আইনজীবীকে ওই আবেদনের বিষয়টি জানান। বিচারক অর্ডার কপিতে অনুব্রত মণ্ডলকে সবরকম চিকিৎসা ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিহারের জেল সুপারকে। ইমেল করে সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় তিহারে। ৭ জুন পরবর্তী শুনানি। এরপর বিচারক গরু পাচার মামলার কেস ডায়েরি দেখতে চান। দু’পাতা ওল্টানোর পরে বিচারকের চোখ দীর্ঘক্ষণ আটকে যায় কেস ডায়েরিতে। এরপর জানতে চান আবদুল লতিফের মামলাটি কবে আছে? সরকারি আইনজীবী জানান, সেটি ২০ মে।