সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পরপর দুবছর দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজো ও দীপাবলিও জেলেই কাটাতে হবে গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। পাশাপাশি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রুতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন-সহ তিহাড়ে থাকা গরুপাচার মামলায় নাম জড়ানো বাকি বন্দিদের।
মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ছিল গরুপাচার মামলার শুনানি। শুনানির ঠিক আগে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত তাঁর আইনজীবীদের জানান, যে তাঁর ডান পায়ে ব্যথা। পা ক্রমশ সরু হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো এদিনও যে কারণে হুইলচেয়ারেই আদালতে পৌঁছান তিনি। কোর্ট রুমে হিসাবরক্ষক (CA), বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারির সঙ্গে কথা বলতে চান অনুব্রত। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন সদ্য জামিন প্রাপ্ত মণীশ।
[আরও পড়ুন: ‘একটা চুলও ছুঁতে পারবে না’, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এথিক্স কমিটিতে হাজিরার ঘোষণা মহুয়ার]
এদিকে জেলে হাতে আঘাত পেয়েছেন সায়গল হোসেন। হাতে ব্যান্ডেজ করে কোর্ট রুমে এসেছিলেন তিনি। তবে এবারও নির্দেশ তাঁদের পক্ষে গেল না। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত গারদের ওপারেই থাকতে হবে অনুব্রুত, সুকন্যা এবং সায়গল হোসেনকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে প্রথমদিকে এই মামলা চলে। অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সংশোধনাগারেই বন্দি ছিলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে (Tihar Jail) আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডিও।