সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার কার্যনির্বাহী সভাপতির নাম ঘোষণা করল বিজেপি। দায়িত্ব নিয়েই বাংলার কথা উঠে এল নতুন কার্যনির্বাহী সভাপতি নীতীন নবীনের মুখে। বাংলা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী নবীন জানিয়েছেন দেশজুড়ে সংগঠন শক্ত করাকেই তিনি প্রাধান্য দেবেন।
বিহারের মন্ত্রী নীতিন নবীন জানিয়েছেন, তাঁর প্রাথমিক দায়িত্ব হবে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা। নবীন আরও জানিয়েছেন, দল এতটাই শক্তিশালী যে তারা বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করবে। আগামী বছর হতে চলেছে বাংলা এবং অসমের নির্বাচন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা একসঙ্গে বসে সব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সংগঠনটি নিচ থেকে উপর পর্যন্ত এতটাই শক্তিশালী যে আমরা বাংলাতেও জিতব।"
যদিও বাংলায় সংগঠনের নতুন সভাপতির নামে দলীয় সিলমোহর পড়লেও এখনও তৈরি হয়নি রাজ্য কমিটি। বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও জানা যায়নি কমিটির সদস্যদের নাম। এর পাশাপাশি, নতুন রাজ্য সভাপতির ডাকে সক্রিয় হচ্ছেন একের পর এক প্রাক্তন নেতা, যাঁরা সুকান্ত জমানায় একপ্রকার ব্রাত্য হয়ে পড়েন দলের অন্দরে। এই ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়েছে দলের অন্দরে আদি-নব্য ভাগ। এই অবস্থায় নতুন কার্যকরী সভাপতির মুখে বাংলা জয়ের কথায় জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কার্যকরী সভাপতি হওয়ার পরে নবীন বলেন, "দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা আমাদের অগ্রাধিকার। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের রাজ্যে এই কাজের জন্য যেভাবে আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন।" বিজেপির কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পর নীতীনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে একজন তরুণ এবং পরিশ্রমী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে নীতীনের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'নীতীন নবীন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি তাঁর নম্র স্বভাব এবং কাজের জন্য মানুষের কাছে পরিচিত। আমি নিশ্চিত যে তাঁর শক্তি এবং নিষ্ঠা আগামী সময়ে আমাদের দলকে শক্তিশালী করবে। বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন।'
২০২০ সাল থেকে বিজেপি সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জেপি নাড্ডা। মোদির মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। নাড্ডার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে, অথচ এখনও তাঁর উত্তরসূরি মেলেনি। নানা সময়ে শোনা গিয়েছে, শীঘ্রই সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এই অবস্থায় নীতীনকে কার্যনির্বাহী সভাপতির নাম ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সভাপতি হওয়ার আগে কয়েকমাস কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন নাড্ডাও। অমিত শাহের আমলে ২০১৯ সালের ১৭ জুন থেকে এই পদে ছিলেন তিনি। এরপর সভাপতি করা হয় তাঁকে। ফলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নীতীনকেই দেওয়া হতে পারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব।
