অর্ণব আইচ: গরু পাচার কাণ্ডে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার এই মামলায় অনুব্রত সঙ্গী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির সূত্র জানিয়েছে, এই সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকা।
বাংলাদেশে গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling) তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সিবিআইয়ের পর তদন্ত শুরু করে ইডি। ইতিমধ্যেই গরু পাচারের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এনামুল হক, সায়গল হোসেন, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের। অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mandal) গ্রেপ্তার করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ইডি। অনুব্রতর দেহরক্ষী তথা পুলিশকর্মী সায়গল হোসেন যে গরু পাচার চক্রের এক মাথা, সেই ব্যাপারে ইডির গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির চক্রান্তে মিথ্যে মামলার ফাঁসে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা! লিগ্যাল ডেস্ক চালুর সিদ্ধান্ত অভিষেকের]
গরু পাচার সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম (Birbhum) করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। ইডির অভিযোগ, গরু পাচারের টাকায় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে সায়গল। বহু আত্মীয়ের নামেও সায়গল সম্পত্তি রয়েছে।
তদন্ত করে ইডি অনুব্রতর সঙ্গে সঙ্গে সায়গলের বেনামি সম্পত্তিরও হদিশ শুরু করে। সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)।