সুব্রত বিশ্বাস: বগটুইয়ের (Bogtui) অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে আনারুল হোসেনের (Anarul Hossein) ভূমিকা। প্রথম চার্জশিটে এমনটাই জানাল সিবিআই (CBI)। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আগুন লাগার পর গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে ফোন করা হয়েছিল আনারুলকে, সে সাফ জানায়, পুলিশ যাবে না।
জানা গিয়েছে, সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে যখন বগটুইয়ে একের পর এক বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে, সেই সময় ফোন করা হয়েছিল আনারুলকে। সেই সময় ফোনে আনারুল জানান, “আমরা ভাদু শেখের (Bhadu Sheikh) খুনের প্রতিশোধ নিচ্ছি। ওরা মেরেছে। কিছু করতে হবে না এখন। এক ঘণ্টা পুলিশ যাবে না।” সোনা শেখের বাড়ি অর্থাৎ যেখানে একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের, সেই বাড়ি থেকে ফোন গিয়েছিল রামপুরহাট থানায়। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে বিষয়টা জানানো হলেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। পাশাপাশি চার্জশিটে দমকলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আম্র কূটনীতি! ‘বোন’ মমতাকে ‘দিদি’ হাসিনার পাঠানো হাজার কেজি হাড়িভাঙা আম পৌঁছল বাংলায়]
ঘটনার সূত্রপাত ২১ মার্চ। ওইদিন প্রথমে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। ওই ঘটনার জেরে বগটুই গ্রামে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। রামপুরহাটে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয়দের কথা শুনে আনারুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তাঁর দাবি, গ্রেপ্তার নয়, ‘দিদি’র নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর থেকেই দাবি করেছিলেন, তিনি দোষী নন, তিনি ঘটনার সময় গ্রামে ছিলেন না, ছিলেন হাসপাতালে।