ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: একাধিকবার হাজিরা এড়ানোর পরই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ১০০ জন সিআরপিএফ জওয়ান তৃণমূল নেতার গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছে। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলছেন দু’জন আধিকারিক। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়িতে চলছে তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে দশটা। সিবিআইয়ের ৬টি গাড়ির কনভয় এসে পৌঁছয় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মুহূর্তের মধ্যে ঘিরে ফেলা হয় গোটা বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরেকটি দল। ভিতর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ৭০ কোটির সম্পত্তি, ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান, জেল হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী]
বুধবার মধ্যরাতে সিবিআইয়ের একটি দল বোলপুর পৌঁছয়। মোট পাঁচটি গাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতে বোলপুরে (Bolpur) এসে পৌঁছন৷ এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে এবং দু’টি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দপ্তর থেকে এসেছে বলেও সূত্রের খবর। রাতে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসেই ছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই গেস্টহাউসে বাইরে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। সূত্রের খবর, ডাকা হয়েছে এক ব্যাংক কর্মীকেও।
গত সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজাম প্যালেসে তলব এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএমে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষাও হয় তাঁর। তাঁর শারীরিক সমস্যা নিয়ে চলছে জোর চাপানউতোর। তারই মাঝে বুধবারও সিবিআই তলব এড়ান অনুব্রত। আর তারপরই রাতে বোলপুরে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে যান তাঁরা। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই জোরাল হচ্ছে গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা।