সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে সিবিআইকে। তারপর থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, রাজ্যকে চারটি জোনে ভাগ করে তদন্ত চালানোর পরিকল্পনা। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার।
শুক্রবার সিবিআই (CBI) ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কীভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত হবে সে বিষয়ে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সোমবারই সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার চার আধিকারিক কলকাতায় আসবেন। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওই তথ্য অনুযায়ী এফআইআর (FIR) দায়ের করা হবে। সূত্রের খবর, বাংলাকে চারটি জোন করে ভাগ করে শুরু হবে তদন্ত। কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গ এই চারটি জোনে ভাগ করা হবে। এদিকে, সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বীরভূমে (Birbhum) সবচেয়ে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরও অপেক্ষাকৃত বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: দুই সন্তান-সহ আফগানিস্তানে গৃহবন্দি বেহালার মেয়ে, দেশে ফেরার কাতর আরজি]
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election, 2021) পরবর্তী হিংসা মামলায় বৃহস্পতিবারই রায়দান করে কলকাতা হাই কোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বৃহত্তর বেঞ্চে এই রায়দান হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবিকে কার্যত সিলমোহর দিয়ে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, খুন, গণধর্ষণ, ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই।
বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর, লুটপাটের মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করার নির্দেশ হাই কোর্টের। সুমন বালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমার – এই তিন IPS আধিকারিকের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট। সেই রিপোর্ট আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। দুই তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) ও পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাই কোর্টের রায়ের পরই তৎপর সিবিআই। তদন্তে চারটি বিশেষ দল গঠন হয়েছে আগেই। শুক্রবারই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্রও চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই।