সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুলগোড়ি এলাকায় সরকারি নথি পোড়ার নেপথ্যে সিবিআইয়ের চক্রান্ত থাকতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত, তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর জন্য সিবিআই ভুয়ো বা জাল নথি পোড়াতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুলগোড়ি এলাকায় পোড়া কাগজ থেকে নথি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এলাকার কিছু বাসিন্দা বলতে শুরু করেন যে, ওই নথিগুলি নিয়োগ দুর্নীতির হতে পারে। বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। আমি এ ব্যাপারে শুনিনি। হতেই পারে এটা বিজেপি, সিপিএম বা আইএসএফের খেলা। না জেনে কোনও মিথ্যা কথা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেব না। তবে এটা সিবিআইয়ের চক্রান্ত হতে পারে। ওরা তো এরকমই করে। কখনও একটা টাকাও পাওয়া গেল না, অথচ বলে দিল ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। কখনও দেখেছেন অমিত শাহর কাছে কত টাকা আছে? বিজেপি নেতাদের কাছে কত টাকা আছে?”
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক নির্বাচনে জেডিএসের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ! ভোট কাটার আশঙ্কায় হাত শিবির]
এখানেই থামেননি মমতা (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন ভাঙড়ে নথি উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোটকলও মানেনি সিবিআই। স্থানীয় প্রশাসনকে আড়ালে রেখে হয়তো ভুয়ো বা জাল নথি পোড়ানো হচ্ছিল ভাঙড়ে, অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বক্তব্য, “এটা সিবিআইয়ের চক্রান্ত। ওরা স্থানীয় থানাকে জানায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও তদন্ত বা অনুসন্ধানে যেতে হলে স্থানীয় থানাকে জানানো উচিত। কিন্তু ওরা জানায়নি। হয়তো ওখানে কোনও ভুয়ো বা নকল নথি পুড়ছিল। ওরা শুধু দেখাতে চাইছে এটা সরকারি নথি। আসলে পরিকল্পনা করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘শাহ-শিণ্ডেরা রোদে বসলে ১০ লক্ষ টাকা দেব’, গরমে ১৩ জনের মৃত্যুতে কটাক্ষ AIMIM সাংসদের]
ভাঙড়ে নথি উদ্ধার নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বেরও দাবি, এই বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। বস্তুত, সিবিআইয়ের একটি সূত্রও বলছে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও নথি পোড়ানো হচ্ছিল না। ওই ধরনের কোনও আধপোড়া নথি সিবিআইয়ের (CBI) হাতেও আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকরা। বরং বিহার সরকারের কিছু অডিট সংক্রান্ত নথি পোড়ানো হচ্ছিল, এমনই প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই।