ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: গত কয়েকদিন ধরে শিরোনামে বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পর এবার সেই চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অডিও যোগার করতেই ডাঃ অধিকারীর বাড়িতে তদন্তকারীরা।
অনুব্রত মণ্ডল এসএসকেএম থেকে বোলপুরে ফেরার পরই তাঁর বাড়িতে গিয়ে চেকআপ করেন বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তারপরই কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন। সেই থেকে চর্চায় চিকিৎসক। তাঁকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছে গোটা বাংলা। এসবের মাঝেই শুক্রবার সকালে আচমকাই চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের তিনসদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই সময় চন্দ্রনাথবাবু বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর। প্রায় তিন ঘণ্টা ঘরে অধিকারী বাড়িতে তদন্তকারীরা। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? কার নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি? এহেন একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ডাঃ অধিকারীকে, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে এই জেলাগুলি]
জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করেছে তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে বোলপুর হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথোপকথনের অডিও সিবিআই সংগ্রহ করেছে। বোলপুর হাসপাতালের সুপার ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মুকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও একজন নার্স যান অনুব্রতর বাড়ি। তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আপাতত বিশ্রামে থাকা দরকার তাঁর। ১৪ দিন বেডরেস্টও লিখে দেন। কিন্তু সোমবারই এসএসকেমের তরফে জানানো হয়েছিল, ক্রনিক সমস্যা থাকলেও ভরতির প্রয়োজন নেই। ফলে দুই চিকিৎসকের ভিন্ন মত নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি জানান, বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার নিদের্শ দিয়েছিলেন। এমনকী হাসপাতালের প্যাডও দেওয়া হয়নি। সাদা কাগজেই যাবতীয় পরামর্শ লিখে দিয়ে আসেন চিকিৎসক। ডা. অধিকারী সাফ জানান, অনুব্রত মণ্ডলই তাঁকে বলেছিলেন বেড রেস্ট লিখতে। যেহেতু বোলপুরেই থাকেন, তাই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ অমান্য করার সাহস তাঁর হয়নি। তারপর গতকাল থেকে ৭ দিনের ছুটিতে গিয়েছেন ডাঃ অধিকারী।