সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলের তৎকাল টিকিট মেলে না। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাধারণ মানুষ যেখানে টিকিট পান না, সেখানে কী করে দালালরা একলপ্তে কয়েকশো টিকিট পান, এই নিয়ে লাখো অভিযোগ রেলের কাছে জমা পড়েছিল। অবশেষে খুলল রহস্যের জট।
[রেলের খাবারে চরম দুর্নীতি, এক কেজি দইয়ের দাম ৯৭২০ টাকা]
সম্প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে, অনলাইনে তৎকাল টিকিট কাটতে গেলে কোনওভাবেই টিকিট মেলে না। অথচ দালালদের হাতে টিকিটের মূল দামের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ বেশি অর্থ দিলে অনায়াসেই ঘরে বসে টিকিট পাওয়া যায়। একের পর এক অভিযোগ ওঠায় রেলমন্ত্রক সিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়। টিকিট কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআই চলতি সপ্তাহে তাদেরই এক সফটওয়্যার প্রোগামার তথা আইআরসিটিসির এক প্রাক্তন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের নাম অজয় গর্গ। অজয় বর্তমানে সিবিআইতেই কর্মরত। অজয়ের সহকারী অনিল গুপ্তাকেও জৌনপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। অজয় ও অনিল গুপ্তাকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
[বলিউডে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপে উঠতি মডেলকে ‘গণধর্ষণ’]
সিবিআইয়ের মুখপাত্র অভিষেক দয়াল বৃহস্পতিবার জানান, টিকিট কেলেঙ্কারির মূল মাথা হলেন অজয়। তদন্তে জানা যায়, এক সময় আইআরসিটিসিতে চাকরি করার কারণে অজয় টিকিট সংরক্ষণের প্রক্রিয়াটি জানতেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই অজয় ওই অবৈধ সফটওয়্যারের মাধ্যমে মাউসের একটি ক্লিকেই কয়েকশো তৎকাল টিকিট সংরক্ষণ করে রাখতেন। পরে বিভিন্ন দালাল মারফত সেই টিকিট বিক্রি করতেন।” ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড টুরিজিম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) ও সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস-কে (সিআরআইএস) সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
[ঐতিহাসিক মুহূর্ত, ভোটাভুটি শেষে লোকসভায় পাশ তিন তালাক বিল]
টিকিট কেলেঙ্কারির এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই রেলমন্ত্রী বিনা টিকিটের যাত্রী ও বেআইনি টিকিট বুকিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কৃত্রিমভাবে টিকিটের ঘাটতি তৈরি প্রতিরোধ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রকের অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, বিনা টিকিটের যাত্রী এবং টিকিটের কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা জারি থাকবে। বৈধ যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার কথাও বলেছেন গোয়েল। সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, টিকিট কাটার পর ট্র্যাভেল এজেন্টদের কাছ থেকে বিটকয়েন বা হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা নিতেন অজয়। নিজের নিরাপত্তার কারণেই এটা করতেন তিনি। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মুম্বইয়ের সাত এবং দিল্লির তিন এজেন্টকেও শনাক্ত করা গিয়েছে।
[দোকানে আমিষ খাবার প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা, বিতর্কে এই পুরনিগম]
The post তৎকাল টিকিট নিয়ে ব্যাপক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস রেলে, ধৃত সিবিআইয়ের কর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.