নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Bagtui Incident) তদন্তভার পেয়েই সক্রিয় সিবিআই। শনিবার বগটুইয়ে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের তিরিশজনের দল। তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করলেন তাঁরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশের পর থেকে আরও সক্রিয় জেলা পুলিশ। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা গ্রামকে।
সূত্রের খবর, অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে তিরিশজন সদস্যের সিবিআই টিমের একটি দল যাচ্ছে ঘটনাস্থলে। যেখানে ২১ তারিখের রাতে অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। আরেকটি দল যাচ্ছে সাঁইথিয়ার গোলাপজল গ্রামে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারারা। কোনওমতে দিন কাটাচ্ছেন মতিলাল শেখ, বানিরুল শেখ, তোয়েব শেখ, কিরণ শেখরা। তৃতীয় দলটির গন্তব্য হতে চলেছে হাসপাতাল। যেখানে রয়েছেন ২১ মার্চের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাজিমা বিবি। এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনা সংক্রমিত ১৬৬০, মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ ২০ হাজারের গণ্ডি]
শুক্রবার বগটুইয়ে গিয়েছিল সিবিআইয়ের ফরেনসিক দল। তাঁরা আজও ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন বলেই জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশের সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি। উল্লেখ্য, পুলিশ যে দশটি ধারায় অভিযোগ নথিভূক্ত করে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই ধারাগুলি লাগু রেখেছে সিবিআয়ের তদন্তকারী দল। এর মধ্যে ৩০২, ৩০৭, ৩২৬, ১২০ (বি), ১৪৮, ১৪৯, ৪২৭, ৪৩৫ ও ৪৩৬ ধারা রয়েছে। যার অন্যতম মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র, রাতে একত্র হয়ে বসতি অঞ্চলে হিংসা ছড়ানো, অগ্নিসংযোগ এবং পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ।
এদিন সকাল থেকেই এলাকার নিরাপত্তায় তৎপর জেলা পুলিশ। পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পাহারায় রয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। সমস্ত ব্যবস্থা নজরে রাখছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার দীপক সরকার। স্বজনহারারা যেখানে রয়েছেন সেখানেও পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।