অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে পার্কিং নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। তার তদন্তে রবিবার দুই কর্মীকে নিজাম প্যালেসে নিজেদের দপ্তরে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা পার্কিং ফি বাবদ প্রচুর টাকা আদায় করতেন। দুই কর্মীকে দিয়ে পার্কিং ফি তোলা হত।
সিবিআই সূত্রে খবর, আর জি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital) চত্বর ও তার আশপাশেও গাড়ি ও বাইক পার্কিং (Parking) করা হয়। এর মধ্যে বাইকের সংখ্যাই বেশি। সাধারণভাবে কলকাতায় পার্কিং বাবদ ফি আদায় করে কলকাতা পুরসভা (KMC)। তার জন্য পুরসভার বিশেষ পদ্ধতি আছে। কিন্তু আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেসবের তোয়াক্কা করত না বলেই অভিযোগ এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই চিকিৎসক, ইন্টার্ন, রোগীদের আত্মীয়, হাসপাতালের কর্মী, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা তাঁদের গাড়ি ও বাইক পার্কিং করেন আর জি কর হাসপাতাল চত্বর ও তার আশপাশে। কিন্তু অভিযোগ, পার্কিং ফি তোলার ব্যাপারে পুরসভাকে ধারেকাছে ঘেঁষতে না দিয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে প্রতিদিন টাকা তুলতেন। পার্কিংয়ের কাজের জন্য সন্দীপবাবু ও ঘনিষ্ঠরা কর্মীও নিয়োগ করেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘ভুল বললে শুধরে দেবেন’, আর জি করে মৃত চিকিৎসকের বাবাকে ফোন কুণালের]
রবিবার তেমনই দুই কর্মী - শেখ সিরাজউদ্দিন ও প্রিয়তোষকে সিবিআই (CBI) নিজাম প্যালেসে তলব করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন, কী পদ্ধতিতে তাঁরা পার্কিং ফি নিতেন? প্রত্যেক ঘণ্টা পিছু গাড়ি ও বাইক পার্কিং করার জন্য কত টাকা করে ফি দিতে হত, সেই তথ্য সিবিআই দুজনকে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন। সেইমতো সারাদিন ধরে পার্কিং বাবদ প্রত্যেকদিন গড়ে কত টাকা আদায় হত ও সেই টাকা পার্কিং কর্মীরা কাকে বা কাদের হাতে তুলে দিতেন, সেই উত্তরের সন্ধানে তদন্তকারীরা। সেই অনুযায়ী, হাসপাতালের আরও কয়েকজন কর্মী ও আধিকারিককে সিবিআই তলব করে জেরা করবে বলে খবর। ওই টাকা শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ ও অন্য আর জি কর কর্তার হাতে যেত কি না, সিবিআই সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে।