সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। রবিবার দুুপুরে ৪ জনের প্রতিদিন দল পৌঁঁছয় গায়েন বাড়িতে। বর্তমানে সেখানে চলছে তল্লাশি। তবে বিদ্যুৎবরণ গায়েন বাড়িতে রয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির পরই উঠে এসেছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নাম। জানা গিয়েছিল, শুধু অনুব্রত নন, সুকন্যার সঙ্গেও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পুরকর্মী বিদ্যুৎবরণের। রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ বোলপুরে সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। তবে বাড়িতে ওই ব্যক্তি রয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। কারণ, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর থেকেই বেপাত্তা ওই ব্যক্তি। বিদ্যুৎবরণের যে বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই, তার আশে পাশে আরও জমিজমা রয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে তদন্তের প্রয়োজনীয় তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বস্তার মুখ খুলতেই বেরলেন জীবন্ত বৃদ্ধা! তুমুল শোরগোল চুঁচুড়ায়]
দীর্ঘদিন বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বিদ্যুৎবরণ। ট্রাকের খালাসি ছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই স্থায়ী চাকরি পান তিনি। সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পর যে কোম্পানি গুলির হদিশ মিলেছে, তাতে প্রথম ডিরেক্টরের নাম ছিল সুকন্যা। দ্বিতীয় নাম বিদ্যুৎবরণ গায়েন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দিকে নজর ছিল সিবিআই। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সামান্য পুরসভার চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন বিদ্যুৎ? কীভাবে এত কোম্পানির ডিরেক্টর পদ পেলেন? যদিও গোটাটাই এখনও ধোঁয়াশা।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুকন্যার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে বাবা বলেও নাকি ডাকতেন বিদ্যুৎ।