সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও তৎপর সিবিআই। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছল সিবিআই।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে মোট ১০টি গাড়িতে বেরন সিবিআই আধিকারিকরা। তার মধ্যে একটি গাড়ি মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদের (Firhad Hakim) চেতলার বাড়ির সামনে পৌঁছয়। মোট ৫-৬জন সিবিআই আধিকারিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে ঢোকেন। সঙ্গে রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও। মেয়রের নিরাপত্তারক্ষীদেরও তাঁর বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। চেতলায় মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে, ফিরহাদের বাড়িতে সিবিআই হানার কথা শুনেই অনুগামীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মেয়র তথা মন্ত্রীর অনুগামীরা।
[আরও পড়ুন: কামদুনি আন্দোলন এবার দিল্লিতে, সুপ্রিম কোর্ট-রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে নির্যাতিতার পরিবার]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়।
গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। একটানা প্রায় ১৯ ঘণ্টা রথীন ঘোষের বাড়িতে চলে জোর তল্লাশি। এছাড়া কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বাড়ি-সহ মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার ঠিক তিনদিনের মাথায় এবার ফিরহাদের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের।