সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার দুর্নীতির অভিযোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য পিলাতাস বিমান ক্রয়ে, একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে ঘুষ আদানপ্রদান করা হয়। শনিবার এই ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিমানবাহিনী এবং অস্ত্র-দালাল সঞ্জয় ভাণ্ডারী-সহ সংশ্লিষ্ট সুইজারল্যান্ডের পিলাতাস এয়ারক্র্যাফট লিমিটেডের কয়েকজন কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
[ আরও পড়ুন: অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা, আমেঠিবাসীর মন জয় মানবিক স্মৃতির ]
সূত্রের খবর, শুক্রবার ভাণ্ডারীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। শনি ও রবিবারও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালান হবে বলে সূত্রের খবর। তবে সেই সম্পর্কে তদন্তকারীরা বিস্তারিত কিছু জানাননি। ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগের তিন বছরের পুরনো তদন্ত থেকেই এই প্রতিরক্ষা দুর্নীতির আভাস মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফট’-এর কাছ থেকে বায়ুসেনার জন্য ৭৫টি প্রশিক্ষণ বিমান কেনার চুক্তি করে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকার। ২৮৯৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর। ওই বিমান কেনার সময় তাঁকে ৩৩৯ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয় বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। অস্ত্র-দালাল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর মালিকানায় চলা সংস্থা অফসেট ইন্ডিয়া সলিউশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামও রয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরে। সংস্থাটি রয়েছে দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কে। ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্ট’-এর কাছ থেকে বেসিক প্রশিক্ষণ বিমান কেনার ব্যাপারে অফসেট ইন্ডিয়া সলিউশন্সের কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[ আরও পড়ুন: লজ্জা! বিনা টিকিটে ভ্রমণের অভিযোগে ধৃত এবার রেলেরই আধিকারিক ]
সুইস সংস্থার কাছ থেকে ৭৫টি বেসিক ট্রেনার এয়ারক্র্যাফট (বিটিএ) কেনার ব্যাপারে যে অস্ত্র-দালাল সঞ্জয়ের ভূমিকা ছিল, তা প্রথম জানা যায় ২০১৬ সালে। লন্ডনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার একটি বেনামি সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে সঞ্জয়ের ভূমিকা নিয়েও আলাদাভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তাঁকে জেরাও করা হয়েছে। বিমানবাহিনীতে ঢোকার পরেই জওয়ানদের যে বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তার নাম-‘বেসিক ট্রেনার এয়ারক্র্যাফট’। এখনও ‘এইচটিপি-৩২’ বিমানে প্রশিক্ষণ হয়। এগুলি ভারতে তৈরি। কিন্তু সেগুলি দিয়ে আর তেমন কাজ হচ্ছে না। আধুনিকতার সঙ্গে সেগুলি পাল্লা দিতে পারছে না বুঝেই বছর দশেক আগেই তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সরকার ওই সুইস সংস্থাটির তৈরি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্টের বানানো ওই বিমানগুলির নাম-‘পিলাতাস পিসি-৭ এমকে-টু’। তার পর ২০০৯ সালে ৭৫টি বিমান কেনার জন্য পিলাতাসের সঙ্গে ২,৮৯৬ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল মনমোহন সরকার।
The post ইউপিএ আমলেই ফৌজি বিমান ক্রয়ে ঘুষ ৩৩৯ কোটি, তদন্তে সিবিআই appeared first on Sangbad Pratidin.