অর্ণব আইচ: সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে জামিন পেলেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ মামলার পঞ্চম চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর। তার প্রেক্ষিতে জামিন চান কল্যাণময়। তার প্রেক্ষিতে বিচারক শুভেন্দু সাহা তাঁকে প্রশ্ন করেন, "কল্যাণময়বাবু আপনাকে কী জেরা করা হয় এই মামলায়?" উত্তরে জানান, জেরা করা হয় তাঁকে। এরপর বিচারক জানান, তাঁকে কোনওদিন গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই জামিন দেওয়া হল। তবে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারবেন না তিনি।
সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। সে কারণে ইডির বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আদালতে হাজিরার কথা ছিল। সমন পাঠানো হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে। সে কারণে বিদেশ থেকে ভারতে আসেন তিনি। এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরাও দেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেখান থেকে ইডির সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন পার্থর মেয়ে-জামাই। তাঁদের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পাওয়া যায়। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে মানি ট্রেল করা হত বলেও খবর। ইডির দাবি, মার্কিন মুলুকে বসেই তিনি সংস্থা ও ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কীভাবে কালো টাকা সাদা হয়েছে, তা কল্যাণময়বাবু জানেন। সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতেই কল্যাণময়কে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়। যদিও বেনামি সম্পত্তি তাঁর নয় বলেই দাবি করেছিলেন কল্যাণময়।