গোবিন্দ রায়: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Case) তদন্তে কতটা অগ্রগতি হল? বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। সেই সঙ্গে সিবিআই ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা, তাও জানতে চাইল আদালত। জবাব দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা।
বড়শাল গ্রামের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের (Vadu Seikh) খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণে ইচ্ছুক কি না তা জানতে চায় আদালত। জবাব দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন সিবিআইয়ের দুই আইনজীবী। এক আইনজীবী জানান, “আদালত নির্দেশ দিলে আমরা তদন্তভার গ্রহণ করব।” তবে ভিন্নমত পোষণ করেন আর এক আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন, নিশানায় ভারতও, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে জানানো হয়, “তদন্তভার নেওয়ার পরে বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। ভাদু শেখের বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশে মানুষ হাঁটাচলা করেছে, তথ্য প্রমাণ বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” তাঁরা আরও জানান, “আমরা এই মামলার তদন্তে টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি।”
যদিও ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে নারাজ রাজ্য। এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, “রামপুরহাটের (Rampurhat massacre) ঘটনায় যতগুলো FIR হয়েছে, তার মধ্যে শুধু একটিতেই ভাদু শেখের মামলার ভার সিবিআইকে দেওয়ার আরজি ছিল। পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। তাই সিবিআইকে দেওয়ার দরকার নেই।” কারা ভাদু শেখের ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। দু’পক্ষের মতামত শোনার পর মামলার শুনানি শেষ করে আদালত। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মিউজিক সিস্টেমের আড়ালে মাদক পাচার! এসটিএফের জালে দম্পতি]
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খুনে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় হানিফ শেখকে। ইতিমধ্যে এই খুনের মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।