রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাঁথি (Contai) থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করল সিবিআই। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) সদর দপ্তর নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছে বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে সিবিআই একটি মামলার তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলার তদন্তের জন্যে সিবিআই সোমবার আইসিকে হাজির হতে বলেছে।
জানা গিয়েছে, অধিকারী ঘনিষ্ঠ কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পন্ডার বিরুদ্ধে ঠিকাদারের ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কাজ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মর্মে কাঁথি থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ইতিমধ্যে রামচন্দ্র পন্ডা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতে অভিযোগকারী কাকলি পন্ডা জানান, তাঁকে জোর করে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রে। ওই অভিযোগ পত্রে যা অভিযোগ রয়েছে, তাঁর অভিযোগ সেটি ছিল না। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেইমর্মে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে সিবিআই তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিবেকানন্দকে নিজের স্কুলের চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর! কেন রুষ্ট হয়েছিলেন তিনি?]
প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের টেন্ডার নিয়ে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেসময় ২০১৯-২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার ওই টেন্ডার পান রামচন্দ্র পান্ডা। রামচন্দ্র, শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, শ্মশানে স্টল তৈরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেই দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। এর পর, গত ২৮ ডিসেম্বর আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়। তাতে দেখা যায়, কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পান্ডার স্ত্রী কাকলি পান্ডা অভিযোগ করেছেন এবং তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে রামচন্দ্রকে। তৃতীয় এফআইআর-টি কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে বলে আদালতে জানায় রাজ্য। পুরো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে আদালত। সেই তদন্তের স্বার্থেই সোমবার কাঁথি থানার আইসিকে তলব করেছেন তদন্তকারীরা।