অর্ণব আইচ ও নন্দন দত্ত: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই স্ক্যানারে নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারী। শনিবার সকাল থেকে তাঁর নলহাটির বাড়ি এবং কলকাতার বউবাজারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি আধিকারিকদের। সিবিআইয়ের দল হানা দিয়েছে বিভাসের আশ্রমেও। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বিভাসকেও।
বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। তাঁর দুটি পরিচয়। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তৈরি আশ্রম রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয়। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তিনি। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন তিনি। যদিও দলের তরফে দাবি করা হয়েছে অন্য। তবে শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণ রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মন! মেয়ে-জামাইয়ের সাহায্যে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে ‘খুন’ স্ত্রীর]
শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। নববর্ষের সকালের সিবিআই তল্লাশিতে নতুন কোনও তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।