বাবুল হক, মালদহ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের পরই তৎপর পুলিশ। মালদহের ইংরেজবাজারের কাউন্সিলর খুনে শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বিহার এবং আরেকজন ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেই খবর।
নিহত দুলাল সরকার, ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকালে দুলালবাবু তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নামামাত্রই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরা ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে রোমহর্ষক ঘটনার ছবি। নতুন বছরের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ জেলা পুলিশ সুপারকে 'অপদার্থ' বলে ভর্ৎসনা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরহাদ হাকিমও তড়িঘড়ি মালদহে যান।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত করে যে দোষী তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। যেভাবে বলবে সেভাবে দাহ হবে। এভাবে একটা তৃণমূল নেতাকে খুন করা আমরা সহ্য করব না। শার্প শুটার বা যে-ই থাক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল, তা আমি বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতাম না। খুনের পিছনে কে পরিকল্পনা করেছে, তা আমাদের দেখতে হবে। একজন পরোপকারী, জনপ্রিয় নেতার কীভাবে মৃত্যু হল, তা দেখতে হবে। যে-ই করে থাকুক, এত সহজে ছাড় পাবে না।" সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানো হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরকে। কিন্তু কে বা কারা সুপারি দিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।