সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন বিনোদন মহলের একাংশ। যাঁরা অনেকেই আবার নিশানা করেছিলেন রাজ্য় সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে। ঘটনার কিনারা করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভূমিকার লাগাতার সমালোচনা করেছিলেন একটা বড় অংশই। বর্ষবরণের মরশুমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গত সোমবার সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে সেই বার্তা দেন তিনি। লিখেছিলেন, ''তিনমাস আগে 'চটিচাটা', সরকার ফেলে দেবো, বাংলাদেশের মত পালাবে বলা শিল্পীদের আর যাই হোক, এখন তৃণমূল নেতাদের বিনোদনের মঞ্চে ডাকা যেতে পারে না। ওঁরা ডাকলেই আসবেন। কিন্তু ওই কজনকে তৃণমূল কর্মীরা বয়কট করুন।'' তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের 'সেবাশ্রয়' কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'আমি ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী'।
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বললেন, “কোথায় কাকে দিয়ে গান গাওয়াবে, কখন গাওয়াবে, কে গান গাইবে, আমি জোর করে কারও উপর চাপাতে চাই না। আমি কোথা দিয়ে হাঁটব-চলব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা সকলের আছে। পার্টির তরফে কেউ বলেছে? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি সাধারণ সম্পাদক হয়ে কিছু বলেছি?’’ যদিও অভিষেক কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে তাঁর মন্তব্য যে এই বিষয়েই, তা স্পষ্ট। এর আগে আর জি কর ইস্যুতে মহিলাদের রাতদখল অভিযানকেও সমর্থন জানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিনও বললেন, ‘‘১৪ অগস্ট যাঁরা রাতদখলের ডাক দিয়েছিলেন, কেউ সমর্থন করুক বা না করুক, আমি সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি আজও একই কথা বলছি। কারও ভাল লাগতে পারে বা খারাপ লাগতে পারে।”
এদিন সকালে অভিষেকের এই বক্তব্যের পরও সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ নিজের বক্তব্যে অনড় রইলেন। জানালেন, আর জি করের সময় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করা শিল্পীদের বয়কট করা নিয়ে তিনি যা মনে করেন, তাই বলেছেন। তবে এও জানান, এ বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন, সেটাই চূড়ান্ত। তা মেনে চলবেন সকলে।