রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ভারতীয়রা সমর্থকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন টাইগার রবি। বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তের দাবি, তাঁর হেনস্তার সাক্ষী ছিলেন স্বদেশীয় সাংবাদিকরাও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও একাধিক ভিডিও করে তোপ দেগেছিলেন ভারতীয়দের। কিন্তু ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে অন্য কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ফাঁকা রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময়ে নিজের পেট চেপে ধরে বসে পড়ছেন টাইগার রবি। তাঁকে এমন অবস্থায় দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
কানপুরে ভারত বনাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন বিস্ফোরক অভিযোগ আসে। শোনা যায়, বাংলাদেশের সমর্থক ‘টাইগার রবি’কে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁকে কয়েকজন দর্শক মারধর করেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে পুলিশ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরে অবশ্য ওই সমর্থক জানান, তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই নিজের বক্তব্য পালটে ফেলেন টাইগার রবি। ভারতীয়দের তোপ দেগে একাধিক ভিডিও করে তাঁর দাবি, মারধর করা হয়েছে তাঁকে। সেই হেনস্তার সাক্ষী নাকি বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।
বিতর্কের আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে কানপুরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, নিজেই আচমকা পথে বসে পড়েছেন টাইগার রবি। সেসময়ে আশেপাশে কেউই ছিলেন না। বরং বাংলাদেশি সমর্থককে এমন দশায় দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সকলে। তার পর থেকেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও ক্ষুব্ধ টাইগার রবির উপর। কারণ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম 'সাক্ষী' হিসাবে বলেছিলেন রবি। তার পর নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সেই সাংবাদিকদেরও। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের মতে, অতীতেও বহুবার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন টাইগার রবি।
যদিও পুলিশ প্রথম থেকেই জানিয়েছিল, ডিহাইড্রেশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন টাইগার রবি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত এক পুলিশ তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কিন্তু বারবার যেভাবে ভারতীয় সমর্থকদের কাঠগড়ায় তুলেছেন টাইগার রবি, সেই নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে। নেটদুনিয়ার দাবি, টাইগার রবির ভারতে প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়া হোক।