সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে বিপুল অর্থের লেনদেন করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক চেলো বাদক বন্ধুর সাহায্যে হিসাব বহির্ভূত বিপুল অর্থের লেনদেন করার অভিযোগ উঠছে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বিপুল অর্থ লেনদেনের কোনও হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবারেই জুরিখের আদালতে পুতিনের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হবে।
এই মামলায় মূল অভিযুক্তের নাম সের্গেই রলদুগিন। পেশায় চেলোবাদক এই ব্যক্তি পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। অভিযোগকারীদের দাবি, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পুতিনের বিপুল অর্থ সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank) পাচার করেছিলেন রলদুগিন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন আরও চার আর্থিক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মধ্যে তিনজন রুশ এবং একজন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চারজনই।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় UNESCO, চিঠি পেয়েই পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রলদুগিনকে নিষিদ্ধ করেছিল সুইস ব্যাংক। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ হামলা (Russia Ukraine War) শুরুর পরই আরও বেশ কয়েকজন রুশ নাগরিকের সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয় রলদুগিনকেও। অভিযোগকারীদের দাবি, ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের গ্যাজপ্রোমব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন রলদুগিনই। সেখানেই গিয়ে জমা হত হিসাব বহির্ভূত বিপুল অর্থ।
বেশ কিছুদিন আগেই রলদুগিন জানিয়েছিলেন, তিনি মোটেও বিশাল ধনী ব্যবসায়ী নন। তাঁর পক্ষে বিপুল ধনসম্পদ অর্জন কার্যত অসম্ভব। তখনই প্রশ্ন জাগে, তাহলে রলদুগিনের অ্যাকাউন্টে এত অর্থ এল কী করে? প্রসঙ্গত, সুইস মুদ্রায় মাসিক এক লক্ষ টাকা আয় করেন বলে দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামেই বিপুল সম্পত্তির মালিকানা রেখেছেন পুতিন। তবে এই গোটা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রুশ প্রশাসন।