সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত আফগানিস্তান (Afghanistan)। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরই আফগানিস্তান দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে তালিবান (Taliban) গোষ্ঠী। একের পর এক শহর দখল করছে তারা। শুধু এলাকা দখল নয়, আফগানিস্তানের মন্ত্রীদেরও খতম করতে চাইছে তারা। পালটা সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে পরাস্ত করতে বিমান হানা চালাচ্ছে আফগান বাহিনী। সহায়তা করছে আমেরিকাও। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পড়শি দেশগুলিও। আফগানিস্তানে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার পরে যে তালিবানরা পাশের দেশগুলির দিকেও হাত বাড়াবে না সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সত্য়িই কি মধ্য এশিয়ার (Central Asia) অন্য দেশগুলিও দখল নেওয়ার ছক কষছে তালিবান? ইতিমধ্যেই জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে দাবি করা হয়েছে তেমন কোনও অভিপ্রায় নেই তাদের। তবু পরিস্থিতি দেখে খুব একটা ভরসা পাচ্ছে না প্রতিবেশীরা। মদ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তানের সমুদ্র শহর আভাজায় শুক্রবারই এক বৈঠকে মিলিত হন পাঁচ দেশের প্রতিনিধিরা। তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলি ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
[আরও পড়ুন: আফগান ধাঁধার জট ছাড়াতে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে বৈঠকে Jaishankar]
এদিকে উজবেকিস্তান ও রাশিয়া যৌথ সেনা মহড়া চালাতে চলেছে আফগান সীমান্তের কাছে। রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, সেই মহড়ায় তাদের দেশের অন্তত ১৫০০ সেনা থাকবে। আসলে দুই দেশই বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে বার্তা দিতে চাইছে, তারা সতর্ক রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার এক শীর্ষস্থানীয় সেনা অফিসার আকাশপথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। আলোচনাও চালিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাকি দেশগুলিও যে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখে প্রস্তুত রয়েছে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতেই দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা দখল করার দাবি করেছে তালিবান। আফগান সেনাও পালটা হামলা চালিয়ে এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাবুল প্রশাসন। ফলত যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে সেখানে।