বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই সমঝোতা নয়। দেখতে চাই চরম সংঘাত। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনিয়ম ধরা পড়লেই রাজ্যের বিরুদ্ধে বঙ্গ বিজেপিকে (BJP) চরম সংঘাতে যাওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেই সঙ্গে শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষ, সুনীল বনশলরা। আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে গ্রামীণ এলাকায় সংগঠনের ভিত শক্ত করতেই এমন নির্দেশ বলে সূত্রের খবর। দিল্লির নির্দেশ অমান্য করলে রেয়াত নয় কাউকে। এহেন হুমকিও দিয়ে রেখেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যেনতেন প্রকারে গ্রামের মানুষকে খেপিয়ে তুলতে শহরের মিঠে রোদ গায়ে মেখে সরকারের সমালোচনা নয়। বরং জেলার কনকনে ঠান্ডায় গা গরম করতে লাগাতার কর্মসূচি নিতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: চাকরি গেল আরও ৩ প্রাথমিক শিক্ষকের, এপর্যন্ত হাই কোর্টের ‘কোপে’ মোট ২৫৮ জন]
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের সংগঠনের হাল নিয়ে দফায় দফায় বাংলার পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, সহ-পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্যর সঙ্গে কথা বলেন জে পি নাড্ডারা (JP Nadda)। বঙ্গ নেতৃত্ব কলকাতা কেন্দ্রিক আন্দোলন করতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামীণ এলাকায় সংগঠন তলানিতে ঠেকেছে। এমনভাবে সংগঠন পরিচালিত হলে পঞ্চায়েত ও লোকসভায় ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী বলে রিপোর্ট দেন পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষকরা।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষদের জেলায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে কলকাতায় ফিরলেও দিনের আলো ফুটতেই জেলায় পা রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারের পাশাপাশি রাজ্যের বিরুদ্ধে মানুষের মনে জমে থাকা ক্ষোভ উসকে দিতে অনিয়ম নিয়ে প্রচার সংগঠিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামের এই ভোট কাজে লাগিয়ে লোকসভার প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে। নইলে ’২৪-এর লোকসভাতেও ভরাডুবির সম্ভাবনা প্রবল। সেই সঙ্গে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব কে, কবে, কোথায়, কী ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তার খতিয়ানও ১৫ দিন অন্তর দিল্লিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই কেন্দ্রীয় নেতা।