নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই কাণ্ডে (Rampurhat Bagtui Incident) ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তার আগেই হাই কোর্ট সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিকে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর এই নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার বগটুইতে ফরেনসিক টিমের আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন তাঁরা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ CFSL-এর আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। ওই দলে রয়েছেন রাসায়নিক, ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরাও। কীভাবে আগুন লাগানো হয়, বাইরে থেকে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়েছিল কিনা, এই সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করার কথা বিশেষজ্ঞদের। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামে সিবিআই আধিকারিকদেরও যাওয়ার কথা। শনিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই বগটুই কাণ্ডে (Bagtui Incident) ধৃত আনারুল হোসেনকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। গোটা আদালত চত্বর আঁটসাঁট নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে অতিসক্রিয়তা! বিজেপির ভূমিকার নিন্দায় সরব হিন্দু মহাসভা]
বগটুই কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এসডিপিও সায়ন আহমেদও কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন সে অভিযোগও নতুন নয়। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার একটি চিঠি ভাইরাল হয়। উপপ্রধান ভাদু শেখ যে আগেও প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছিলেন, তা ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। উপপ্রধান এসডিপিওকে আশঙ্কার কথা জানালেও, কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হল না, উঠছে সেই প্রশ্ন।