shono
Advertisement

বিতর্কের মাঝেই বাড়ল আবাস যোজনা অনুমোদনের সময়সীমা, নবান্নকে চিঠি কেন্দ্রের

প্রশ্ন উঠেছে, কার স্বার্থে সময়সীমা বাড়ানো হল?
Posted: 11:12 AM Jan 25, 2023Updated: 11:12 AM Jan 25, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: আবাস যোজনায় কিছুটা হলেও স্বস্তি। রাজ্যের দাবি মেনে আরও একমাস বাড়ানো হল বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার সময়সীমা। অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই নবান্নকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার সময়সীমা শেষ দিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। এর মধ্যে মোট ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ করার কথা ছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার বাড়ি তৈরির মানে প্রায় ৯০ শতাংশ অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়। পড়ে থাকা বরাদ্দ অন্য রাজ্যের কাছে চলে যাবে, এমনই শর্ত জানিয়ে ২৪ নভেম্বর নবান্নকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্র সমসীমা বাড়ানোয় বকেয়া ১০ শতাংশ অনুমোদনেও আর কোনও জটিলতা রইল না। অর্থাৎ বরাদ্দ কোটার সবটাই পাবে বাংলা।

[আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে না শীত, সরস্বতী পুজোয় আরও বাড়বে তাপমাত্রা]

কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, কার স্বার্থে সময়সীমা বাড়ানো হল? নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, সারা দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন বকেয়া। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ‌্য রয়েছে। সময়সীমা না বাড়ালে এই রাজ‌্যগুলির কোটা অন্য রাজ্যে চলে যেত। যদিও ঘোষণামতো এখনও বাংলাকে আবাস যোজনার জন‌্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হয়নি। পুরনো হিসাব না দিলে, নতুন করে টাকা দেওয়া হবে না, এমন কথাই বলে চলেছে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। ফলে, বাড়ি তৈরির অনুমোদনের কাজ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না আসায় বাড়ি তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। উলটে বিজেপি নেতাদের কথায় দফায় দফায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। যদিও কোনও জেলাতেই বড় কোনও অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।

কেন্দ্র-রাজ্যের এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই মঙ্গলবার ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ) এবং রাজ্যের অর্থ সচিবকে মামলায় পক্ষভুক্ত করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসাব দিতে পারছে না রাজ্য, এই অভিযোগে ক্যাগ রিপোর্টকে ভিত্তি করে রাজ্যের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সাংবাদিক পরিচয়ে মামলা করেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি প্রয়োজন ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ? জানালেন প্রাক্তন ICMR প্রধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement