সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পেনশনারদের (Pensioner) জন্য নয়া ‘ফেস রেকগনিশন’ (Face Recognition) প্রযুক্তি চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, নতুন প্রযুক্তিতে বিশেষ সুবিধা হবে লক্ষ লক্ষ পেনশনপ্রাপকদের। এই ব্যবস্থা আসলে লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) পেশ করার মতোই পেনশন প্রাপকদের জীবিত থাকার শংসাপত্রেরও কাজ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পেনশন প্রাপকদের জীবিত থাকার শংসাপত্র হিসেবে প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে জমা দিতে হয় লাইফ সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট এখন ডিজিটাল মাধ্যমেও দেওয়া যায়, জীবনপ্রমাণ.গভ.ইন (jeevanpramaan.gov.in) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এই ব্যবস্থার সঙ্গেই সংযুক্ত হল ‘ফেস রেকগনিশন’ প্রযুক্তি।
কেন্দ্রীয় পার্সোনেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) পেনশনপ্রাপকদের জন্য নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন করে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পেনশনপ্রাপকদের সুবিধার কথা ভেবে আসছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সরকার। সেই সূত্রেই পেনশন প্রাপকদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Digital Life Certificate) ‘জীবন প্রমাণে’র ব্যবস্থা করা হয়। এবার তার সঙ্গে সংযুক্ত হল ‘ফেস রেকগনিশন’ প্রযুক্তি, যা পেনশনপ্রাপকদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেবে।
[আরও পড়ুন: সাসপেনশনের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির, বুধবার তৃণমূলের সঙ্গে ধরনায় অন্য দলের সাংসদরাও]
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ৬৮ লক্ষ পেনশন প্রাপক নন, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ছিলেন যাঁরা কিংবা ইপিএফও-র আওতায় রয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও এই সুবিধজনক ব্যবস্থায় থাকছেন। নতুন ‘ফেস রেকগনিশন’ ব্যবস্থাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
দেশের পেনশনপ্রাপকদের জন্য নতুন ‘ফেস রেকগনিশন’ প্রযুক্তির ব্যবস্থা করায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক (Ministry of Electronic and Information) ও আধার (UIDAI) কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জিতেন্দ্র সিং।
[আরও পড়ুন: ‘পিএম সাহেব আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করুন, দেরি করবেন না’, ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা কেজরিওয়ালের]
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের বেঁচে থাকাকে সহজ ও সুন্দর করতে বদ্ধপরিকর। তার মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত পেনশনপ্রাপকেরাও রয়েছেন।” করোনা পরিস্থিতিতেও পেনশন প্রাপকদের জন্য কতখানি কাজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এদিন সেই খতিয়ানও তুলে ধরেন জীতেন্দ্র সিং।