নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লন্ডনে বসে ভারতীয় গণতন্ত্রের ‘বিপন্নতা’র কথা বলে আগেই কেন্দ্রের রোষানলে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তার রেশ আছড়ে পড়ল সংসদেও। সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী দাবি তুললেন, এই মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধী সংসদে (Parliament) এসে ক্ষমা চান। তবে এদিনও বিরোধীদের হইহট্টগোলের জেরে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।
সম্প্রতি লন্ডনের (London) চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের এক আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন রাহুল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।” তার কয়েকদিন আগে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও মোদি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ব্রিটেনে রাহুল বলেন, “ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। এই বিষয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো গণতন্ত্রের রক্ষকরা উদাসীন কেন? তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই স্বস্তি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত]
সোনিয়াপুত্রের এই মন্তব্যেই ফুঁসে উঠেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তাঁদের পালটা দাবি, রাহুলের এধরনের কথাবার্তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশকে নাক গলানোর সুযোগ করে দেবে। তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের সম্মান রক্ষা করেননি। রাহুল গান্ধী দেশের অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক, তাও শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্যে। এবার সংসদেও সেই আঁচ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর বক্তব্য, লন্ডনে বসে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর উচিত, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি সংসদে এসে সেটাই করুন। একই দাবি তুলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing), পীযূষ গোয়েলের।আবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দাবি, রাহুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হোক।
[আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী অস্কার, সেরার শিরোপা বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্পীদের, দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা]
যদিও রাহুলকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পালটা জবাব দিয়েছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। তাঁর দাবি, রাহুল এমন কিছুই বলেননি যাতে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।