সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশে কর্মসংস্থান নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আগামী দেড় বছরে ১০ লক্ষ চাকরি হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি মন্ত্রকেই এবং বিভাগগুলিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কাজের ধরন বুঝে নিযুক্ত কর্মীদের দেওয়া হবে দায়িত্ব। এই মর্মে ইতিমধ্যেই তিনি প্রতিটি মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে টুইট করেছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর। এই প্রকল্পের নাম তিনি দিয়েছেন ‘মিশন মোড’।
টুইটে (Tweet) আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রকেই হিউম্যান রিসোর্সের কর্মী প্রয়োজন। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাই মানবসম্পদে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই সেই নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে তা জানানও হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বিপুল কর্মসংস্থানের খবরে উচ্ছ্বসিত চাকরিপ্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: ‘ইতিহাস কীভাবে বদলে দিতে পারে’, শাহকে কটাক্ষ জোটসঙ্গী নীতীশের]
ক্ষমতায় আসার সময় কেন্দ্রের তরফে কর্মসংস্থান নিয়ে ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পূরণ হয়নি, এই অভিযোগে বিরোধীরা লাগাতার বিঁধেছেন মোদি সরকারকে। যে কোনও ইস্যুতেই বেকারত্ব নিয়ে খোঁচা অব্য়াহত ছিল। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, সেই সমালোচনার জবাব দিতেই প্রধানমন্ত্রী মানবসম্পদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: অমরনাথ তীর্থযাত্রায় যাওয়া ঘোড়াও এবার বিমার আওতায়, সুবিধা পাবেন ঘোড়ার সঙ্গে থাকা কর্মীও]
যদিও তাঁর ঘোষণার পরই ফের কটাক্ষের পথে হাঁটল কংগ্রেস (Congress)। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইটে বলেন, কর্মসংস্থানে এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে দেশ। মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর প্রধানমন্ত্রী শুধু ‘টুইটার টুইটার’ খেলছেন!
অন্যদিকে, কেন্দ্র-রাজ্য সুসম্পর্কে জোর দিতে আগামী ১৬ ও ১৭ তারিখ ধর্মশালায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।