সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে ফের অস্বস্তিতে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত প্রকল্পের খরচ সরকারের প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় একধাক্কায় বেড়ে গেল ২৯ শতাংশ। যার ফলে, রাজধানীর অলিন্দে নতুন সংসদ ভবন এবং তৎসংলগ্ন নির্মাণ গুলি তৈরি করতে কেন্দ্রের অনুমানের তুলনায় ২৮২ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হতে পারে। সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ভিস্তার অধীনে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করতে খরচ পড়বে ১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে ১৩ একর জমির উপর এই প্রকল্পের শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। এখনও পর্যন্ত কাজ ৪০ শতাংশ এগিয়েছে। কেন্দ্রের টার্গেট চলতি বছর অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সেরা ফেলা। সংসদ ভবনের (Parliament) পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি হবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং তাঁর বিশেষ নিরাপত্তা দলের হেডকোয়ার্টারও। ২০২০ সালে কেন্দ্র জানিয়েছিল, নতুন সংসদ ভবন তৈরি করতে ৯৭৭ কোটি টাকা দরকার। কিন্তু এখন হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, বরাদ্দের থেকে আরও অন্তত ২৮২ কোটি টাকা বেশি খরচ হবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে। যা কিনা বরাদ্দ অর্থের থেকে ২৯ শতাংশ বেশি। এমনটাই দাবি সরকারি সূত্রের। মূলত অতিমারী পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি খরচ হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: খরচ বাঁচাতে পদক্ষেপ! পাঁচ দশক পর নিভছে অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা]
প্রসঙ্গত, অতিমারীর মধ্যেও দিল্লিতে (Delhi) পুরোদমে চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্পের কাজ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিরোধী থেকে শুরু করে সমাজকর্মী এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে তা সত্ত্বেও থেমে নেই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প। মোদি সরকার এই প্রকল্পকে ‘অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প’ তকমা দিয়েছে। যার ফলে কাজ চলাকালীন ওই এলাকায় প্রবেশ করা বা ছবি তোলা সবটাই নিষিদ্ধ।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী আবোল তাবোল বলার মাস্টার’, বিপ্লব দেবকে আক্রমণ বিদ্রোহী বিধায়ক সুদীপের]
অতিমারী (Coronavirus) আবহে এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের বরাবরই আপত্তি ছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল, করোনা আবহে এই অপচয় বন্ধ করে চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা উচিত মোদি সরকারের। কেউ কেউ আবার মোদি সরকারের এই প্রকল্পকে হিটলারের আউশভিৎজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। তাতে কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। এবার নতুন করে এই খরচ বাড়ার খবরে বিরোধীরা যে ফের আক্রমণাত্মক হবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়।