সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA কার্যকর হওয়ায় দেশ ছাড়া হবেন মুসলিমরা? ক্রমশই জাঁকিয়ে বসছে আতঙ্ক। লোকসভা ভোটের আগে সেই আতঙ্ক কাটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিবৃতি জারি করে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, CAA কারোর নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এর প্রভাব ১৮ কোটি ভারতীয় মুসলিমের উপর পড়বে না। ভারতীয় হিন্দুদের মতোই সমস্ত অধিকার বজায় থাকবে তাদেরও। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কোনও নথিও তাদের দিতে হবে না। পাশাপাশি, এই আইন বিভাজনমূলক বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই অভিযোগকেও অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। কখনও ধর্মের নামে বিদ্বেষ, হিংসা ছড়ায় না। এই আইন ইসলামকে কলঙ্কিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।” সমাজের একাংশ যেভাবে CAA-কে মুসলিম বিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না বলেই দাবি কেন্দ্রের। শুধু তাই নয়, পড়শি দেশগুলিকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের কোনও চুক্তি নেই, যেখানে শরনার্থীদের সে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। এমনকী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও কোথাও বলা নেই।
[আরও পড়ুন: চাউমিন আনতে গিয়ে নিখোঁজ! একদিন পর উদ্ধার নাবালকের গলাকাটা দেহ, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য]
এতদিন যাবৎ আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ‘ধর্মীয়ভাবে নির্যাতিত’ মুসলিমরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারত। নয়া আইনে বলবৎ হওয়ার পর এই রীতিতে কোনও বদল আসবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, সিএএ কার্যকর হওয়ার ফলে মুসলিমরা নাগরিকত্ব হারাবে বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, আসাউদ্দিন ওয়েইসিরা।